নিজস্ব প্রতিবেদক বড়াইগ্রাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ না নেওয়াসহ দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বড়াইগ্রাম থানা পরিদর্শনে এসে সিরাজুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন। নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন জানান, বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় সেবা নিতে গিয়ে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এছাড়াও বিষয়টি তিনি (ওসি) সঠিক সময়ে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাননি। পুলিশের কাছে সেবা না পাওয়া দায়িত্ব অবহেলা। এ কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে বিষয়টির কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে এবং সাময়িকভাবে তাঁকে নাটোর পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, বিষয়টি তদন্ত করা হবে, ‘তদন্তে অভিযুক্ত হলে ওসি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এর আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনার তিনদিন পর আজ শুক্রবার সকালে মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা ওমর আলী নামের এক বাসযাত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৮/৯ জনকে আসামি করা হয়। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ১০ ধারা সহ ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড(ডাকাতি ) ধারায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ সালাউদ্দিন। মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ সালাউদ্দিন জানান, ‘সকালে বাসযাত্রী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ওমর আলী বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাত ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।’ এর আগে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহন নামের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা। পরে বড়াইগ্রাম থানা এলাকায় যাত্রীরা বড়াইগ্রাম থানায় বাসটিকে সোপর্দ করলে ডাকাতির ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান।
