নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাপেক্সের কাজের পরিধি উত্তরোত্তর বাড়ানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উৎপাদন কোম্পানিতে পরিণত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল সোমবার শ্রীকাইল ইস্ট #১ অনুসন্ধান কূপ ও ফেঞ্চুগঞ্জ ৪ নং কূপের সফল ওয়ার্কওভার এর পর জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাপেক্সের আওতায় উৎপাদন সংক্রান্ত কার্যক্রম, খনন ও ওয়ার্কওভার কার্যক্রম, রিগ সিডিউল, অনুসন্ধান জিওফিজিক্যাল ও জিওলজিক্যাল কার্যক্রম, বাপেক্সের সাংগাঠনিক কাঠামো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাপেক্স কর্তৃক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার আওয়তায় গৃহীতব্য প্রকল্প সমূহ ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট করে পরিকল্পনা মাফিক বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাপেক্সের শ্রীকাইল ইষ্ট#১ অনুসন্ধান কূপ থেকে শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের প্রসেস প্ল্যান্ট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার গ্যাস গেদারিং পাইপলাইন স্থাপন শেষে উক্ত কূপ হতে দৈনিক কম-বেশি ১১ মিলিয়ন ঘনফুট পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। উক্ত কূপে সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ৭১ বিলিয়ন ঘনফুট। গত ৪ মে হতে বাপেক্সের ফেঞ্চুগঞ্জ ৪ নং কূপের সফল ওয়ার্কওভার সম্পাদনের পর নতুন জোন থেকে দৈনিক কম-বেশি ১১ মিলিয়ন ঘনফুট হারে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। উক্ত জোনের সম্ভাব্য গ্যাস মজুদ ৪৫ বিলিয়ন ঘনফুট। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড প্রতিদিন ১২৫-১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করছে।