নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আসুরার বিলে আবাদি জমি রক্ষায় এবং বাঁধ নির্মানের প্রতিবাদে গত ৮ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে আসছে বিল পড়ের কয়েক হাজার মানুষ। রাতের অন্ধকারে কেউ যেন নতুন করে বাঁধ নির্মান করতে না পারে, সেই জন্য রাত-দিন পালা করে বিলের ভাঙ্গা বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন তারা। তাদের অভিযোগ, বিলে বাধ স্থাপনের ফলে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধান আবাদ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন বলছেন, এটা সরকারি সম্পত্তি। বিলের ঐতিহ্য ফিরে আনাতে এবং মাছের অভয়রান্ন নির্মানে রাবার ড্যাম স্থাপনের করা হয়েছে।
প্রায় ২ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার এই আসুরার বিল। নাম বিল হলেও দেখতে নদীর মতো। বিলের পানি পানি শুকিয়ে গেলে সেখানে ধানের আবাদ করে জিবিকা নির্বাহ করে বিলপাড়ের কয়েক হাজার মানুষ।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিলের পানি ধরে রাখতে সেখানে গতবছর একটি বাধ নির্মান করে উপজেলা প্রশাসন। বিলে পানি জমে থাকায় সেখানে আর আবাদ করতে পারছেনা বিল পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ।
সম্প্রতি বন্যায় বাধটি ভেঙ্গে গেলে তা পুণ নির্মান শুরু করে স্থানীয় প্রাশাসন। এতে বাধা দেয় এলাকার ভ‚ক্তভোগী মানুষ। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নারী-পুরুষসহ সবাই দিন-রাত এভাবে বাধ পাহারা দিয়ে আসছে। যাতে কেউ বাধটি পূণ নির্মান করতে না পারে। তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাধ নির্মান না করার আশ^াস পাবার পরই তারা অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহর করবেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, আসুরার বিলকে পর্যটন এলাকা ঘোষনার পর এর সুন্দোর্য বর্ধনে নানা মুখি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর এখানে একটি বাধ নির্মান করা হয়।
তিনি বলেন, আন্দলনকারীদের কেউ এখনো তার সাথে যোগাযোগ করেনি। তারা যোগাযোগ করলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনশনরত অবস্থায় গোলাপ সরকার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যান। আার এ কারনে শুক্রবার সকাল থেকে তারা মাথায় কাফনের কাপড় পরে আশুরার বিলে অনশন করছেন।