নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুরঃ
প্রতি বছরের মতো এবারো চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে বাঙ্গির। দীর্ঘকাল ধরে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাঙ্গি চাষ করে আসছেন কৃষকরা। এখানকার উৎপাদিত বাঙ্গি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে পাইকাররা আসতে না পারায় বাঙ্গির মূল্য ও সরবরাহ নিয়ে হাতাশায় ভুগছেন চাষীরা।
জানা গেছে- উপজেলার শিধুলী, চলনালী ও পোয়ালশুড়া গ্রাম বাঙ্গি চাষের জন্য বিশেষ পরিচিত। প্রতিদিন চাষীরা ক্ষেত থেকে বাঙ্গি তুলে পাইকারী দরে বিক্রি করছেন স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ব্যবসায়ী আসে এসব এলাকায়। বাঙ্গি কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ বা বিক্রি করেন তারা।
বাঙ্গিচাষী বিমল কুমার বলেন, বন্যার পানি চলে যাওয়ার সাথে সাথে বাঙ্গির বীজ রোপন করা হয়। গাছ বড় হতে তিন/চার মাস সময় লাগে। নিয়মিত পরিচর্যার ফলে বৈশাখ মাসে ফলন পাই। এ বছর বাঙ্গির ভালো ফলন হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের কারনে পাইকারী ব্যবসায়ীর আগমন কম হওয়ায় লোকসানে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল করিম বলেন, এ বছর উপজেলার প্রায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। চাষীদের মাঝে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তবে করোনার প্রভাবে পাইকারী কম আসায় বাঙ্গির মূল্য নিয়ে হতাশায় রয়েছেন চাষীরা।
আরও দেখুন
নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,,,,, বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা …