নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ৩ জন গরু চোরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে চুরি যাওয়া ১৭ টি গরু-ছাগল পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার রাতে জামনগর এলাকা থেকে তাদের আটকের পর বুধবার এসব গবাদী পশু উদ্ধার করা হয়।
জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে জামনগর ত্রিমোহিনী গ্রামের নবাব আলীর বাড়িতে চুরি করতে গেলে ধাওয়া দিয়ে গ্রামবাসী প্রথমে দুই জনকে আটক করে। আটককৃতরা পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গোচর গ্রামের নাজের আলীর ছেলে মামুন (৩০), একই গ্রামের কায়েম উদ্দিনের ছেলে আল মামুন ওরফে কালু (৫০)।
পরে গনধোলাই দিলে তারা চুরির কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার দাসের চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪০) কে আটক করে গ্রামবাসী। চুরির পর আশরাফুল ইসলামের কাছে এসব গবাদি পশু সরবরাহ করা হতো বলে আটক কৃতরা জানায়। আটককৃতদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত আশরাফুল ইসলাম ও তাদের প্রতিবেশী স্বজনদের বাড়ি ও দাসের চক বিল থেকে ৯ টি গরু এবং ৮ টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন সময় জামনগর ও আশেপাশের গ্রাম থেকে এসব গবাদীপশু চুরি যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। উদ্ধার হওয়া এসব গরু-ছাগল এবং আটক কৃত স্থানীয়রা জামনগর ইউনিয়ন পরিষদে জড়ো করা হয়।
পরে বুধবার দুপুরে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয় এবং উদ্ধার হওয়া গরু জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস আরও জানান, আইন অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া গরু মালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া গরুর মালিকদের মধ্যে জামনগর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইয়ার আলী, ত্রিমোহিনীর আফাজ আলী, হাঁপানিয়ার বাবলু ও শরিফুল জানান, কোরবানীর ঈদের আগে ও পরে তাদের গরু চুরি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নাজমুল হক জানান, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।