নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
বিভিন্ন বাজারের এ-দোকান ও-দোকান ঘুরছে হাতি। পিঠে বসা মাহুত। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় তুলে সালাম দিচ্ছে। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানদারের কাছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দিচ্ছেন না, ততক্ষণ পর্যন্ত শুঁড় তুলছে না হাতিটি। এভাবে প্রতি দোকান থেকে ১০ থেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজারে হাতিটির দেখা মেলে।
দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে জামনগর ইউনিয়নের বাক্কারের মোড়, জামনগর বাজার, বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বাজারে চাঁদা তোলা হয়। এক বাজার থেকে অন্য বাজারে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল চালকদের সামনে দাঁড়িয়েও চাঁদা তোলা হয়।
জামনগর বাজারের কম্পিউটার দোকানী সারওয়ার জাহান ছোটন জানান, তার দোকানে হাতি নিয়ে এসেছিলেন তার মাহুত। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তার দোকান থেকে সরে না। বাধ্য হয়ে তিনি ২০ টাকা দিয়েছেন। বাক্কারের মোড়ের মুদি দোকানী সজিব আলী জানান, দোকান থেকে একটু বাইরে গেছেন এমন সময় তার দোকানের সামনে হাতি আসে। দোকানে কাউকে না পেয়ে তার দোকান থেকে ঝুলে রাখা বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে গেছে হাতি।
এব্যাপারে হাতির মাহুত পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, তিনি হাতি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহন, ঘর-বাড়ি এবং বাজারের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে খাবারের জন্য কিছু টাকা-পয়সা নেন। তাঁর অন্য কোন পেশা নেই। তবে তিনি দাবি করেন, কাউকে টাকার জন্য জোর করেন না। হাতি দেখলে সবাই খুশিমনে টাকা দিয়ে দেন। খুশি করে দেওয়া টাকা ‘চাঁদাবাজি’ হতে পারে না।
বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, এভাবে বন্যপশু দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …