নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার মালঞ্চি-বিহারকোল প্রধানসড়কেখানা খন্দকে জনদূর্ভোগের সৃষ্টিহয়েছে। উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের সোনাপাতিল মহল্লা এলাকায় এই ছোটবড় খানা-খন্দর কারনে সৃষ্ট জন দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দুইবছর পূর্বে সড়কটি সংস্কার করা হলেও সুষ্ঠপরি কল্পনার অভাবে ওই এলাকায় পরের বছরই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে ছোট-বড়গর্তের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাছাড়া পৌরএলাকার এই গুরুত্বপূর্ণ মহল্লাটির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে অহরহ ঘটে দূর্ঘটনা। বৃষ্টির সময় দূর্ভোগের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
এদিকে ভাঙ্গা সড়ক নিয়ে চলছে দুই দপ্তরের মধ্যে রশি টানাটানি। পৌরসভা এবং এলজিইডি কেউই দায়নিতে চাননা। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পৌর এলাকার ভেতরে বাগাতিপাড়ার প্রাণকেন্দ্রের এই সড়কটি আসলে কার?
জানা গেছে, বাগাতিপাড়া-নাটোর প্রধান সড়কের মালঞ্চিবাজার থেকে তমালতলা মহিলা কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক প্রশ্বস্তকরন ও সংস্কার কাজ ২০১৮ সালের মে মাসের দিকে শেষ হয়। স্থানীয়সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে সেসময় কাজটিকরা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালে সোনাপাতিল এলাকার একই স্থানে ভাঙ্গা সড়কের গর্তে জনদূর্ভোগের কারণে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে এবংআটকে থাকা সড়কের পানিতে বড়শি ফেলে মাছ শিকারের প্রতিকী প্রতিবাদ করেন। ওই সময় আন্দোলণের পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করা হয়েছিল। কিন্তু সড়কটির সংস্কারের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও একই এলাকায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টিহয়েছে। বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় ওইসব গর্তে পড়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যানগাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে সড়কের গর্তে পড়ে পথচারীরা বেশকয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সোনাপাতিল মহল্লার শিক্ষক রাশেদুল আলম বলেন, বাগাতিপাড়া পৌরসভা থেকে এই এলাকার পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে ওই এলাকার পানি রাস্তায় এসে জমে থাকায় সড়কটির ওই অংশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। একারণে সংস্কারের পরপরই আবারও ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারন মানুষ। তিনি ড্রেনেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি সড়কের ওই অংশে আরসিসি ঢালাইয়ের মত স্থায়ী ও টেকসই ব্যবস্থার দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, সড়কটি মুলত পৌরসভার অধীনে। পৌরসভার সেসময় আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় তাদের অনুমতিনিয়ে দু’বছর পূর্বে প্রশ্বস্তকরণ ও সংস্কার কাজটি করা হয়েছিল। কিন্তু কোন রাস্তা সংস্কার বানির্মাণের তিন বছর পূরণ হওয়ার পূর্বে নতুন ভাবে সংস্কার করার প্রস্তাবনা দেয়ার নিয়ম নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি মাসিক সভায় আলোচনা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, পৌরসভা থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কে দুয়েকটি কালভার্ট নির্মাণ করে সংস্কারের মাধ্যমে এর স্থায়ী সমাধান করা যায়।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন বলেন, সড়কটি তার পৌরসভার অধীনে নয়, বরং এলজিইডির অধীনে। সেখানে পৌরসভা থেকে অর্থ ব্যয় করতে পারেন না। তবে জনদূর্ভোগের বিষয় নজরে আসায় তিনি উএনওকে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলে জানান।
জানতে চাইলে ইউএনও প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল এ বিষয়ে বলেন, সড়কটি প্রকৃত পক্ষে কোন দপ্তরেরতা খোঁজ নেয়া হবে। তাছাড়াও উর্দ্ধতনদের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।