শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / বাগাতিপাড়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ

বাগাতিপাড়ায় স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রী অপহরণের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় স্কুলে যাওয়ার সময় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার থেকে অপহরণ দাবি করা হলেও প্রেম ঘটিত কারনে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে মেয়ের বাবা থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও সোমবার পর্যন্ত ছাত্রীটি উদ্ধার হয়নি। বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম অপহরণের এজাহার হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন এস আই ঘটনাটি তদন্ত করছেন।
এজাহারে ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়ে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিনের মত শনিবার টিফিনের সময় সে বাড়ি গিয়ে খাওয়া শেষে স্কুলে ফিরছিল। পথে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তায় পৌঁছলে সেখানে অপেক্ষা করা একই উপজেলার কালিকাপুর দিয়ার পাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও বাঁশবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র জিয়ারুল ইসলাম তার পথ রোধ করে। এ সময় তার অপর তিন বন্ধুর সহযোগিতায় ছাত্রীর মুখে গামছা পেঁচিয়ে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর থেকে তার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে দাবি করে তার উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করেছেন মেয়েটির বাবা।
নিখোঁজ ছাত্রীর ভাইয়ের দাবি, ঘটনার পর তারা জিয়ারুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার বাড়ি থেকে অভিভাবকরা জানিয়েছে, জিয়ারুল ও মেয়েটি কোথায় আছে তা তারা জানেন না। ঘটনার পর থেকে জিয়ারুল ও তার সাথে আসা বন্ধুদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে বলেও দাবি তার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আলী জানান, দুই বছর আগে জিয়ারুল ইসলাম একই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছে। ঘটনাটি প্রেমঘটিত হতে পারে বলে তিনি স্থানীয় স‚ত্রে জানতে পেরেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি প্রেমঘটিত বলে মনে হয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং প‚র্ণ তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া ……..নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জাটকা ইলিশ বিক্রির দায়ে রিপন হালদার (৪২) নামের এক মাছ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *