নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়াঃ
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতাধীন বাগাতিপাড়া উপজেলার বেশকিছু গ্রাহক রূপালী ব্যাংকের তমালতলা শাখায় বিল পরিশোধ করতে না পারায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গ্রাহকরা বলছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিজেরা ভুল করে গ্রাহকের উপরে দায় চাপানোর পাঁয়তারা করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা রূপালী ব্যাংকের শাখায় বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় রবিউল ইসলাম নামে একজন গ্রাহক বিল দিতে না পারায় বিক্ষুব্ধ আচরণ করেন। তার দাবি, সে একজন দিনমজুর তার পক্ষে বারবার বিল নিয়ে ব্যাংকে আসা সম্ভব নয়, পল্লীবিদ্যুত অস্পষ্ট বিল দেওয়ায় ব্যাংক বিল ফিরিয়ে দিয়েছেন। তারা এখন বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অপর একজন গ্রাহক বলেন পল্লীবিদ্যুতের ভুলের মাশুল আমরা কেন দেব? গ্রাহকের জরিমানার টাকা বাদ দেয়ারও দাবি জানান।
বিষয়টি নিয়ে রূপালী ব্যাংকের তামালতলা শাখার ব্যবস্থাপক উৎপল কুমার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কিছু গ্রাহকের বিল ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ বিলের উপরে অস্পষ্ট লেখার কারণে টাকার কোন পরিমাণ বোঝা যাচ্ছেনা। তবে তিনি বিষয়টি তৎক্ষণাৎ পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন।
অস্পষ্ট বিল প্রিন্ট হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগাতিপাড়া জোনাল অফিসের এজিএম ফরহাদ হোসেন দাবি করেন, অফিসের প্রিন্টারের একটু সমস্যা হওয়ায় কিছু বিল এমন অস্পষ্ট হতে পারে।
এ ব্যাপারে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের নাটোর জেলা সভাপতি শামীমা লাইজু নীলা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নিজেরা অস্পষ্ট বিল প্রিন্ট দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানির মধ্যে ফেলেছেন। একদিকে হয়রানি অপরদিকে আবার নির্ধারিত সময়ের পরে বিল দিতে জরিমানা। এটা কর্তৃপক্ষের অবহেলা এবং অবজ্ঞার বহিঃপ্রকাশ। ওই সকল গ্রাহকদের জরিমানা মওকুফ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১এর জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, বিলগুলো বাগাতিপাড়ার জোনাল অফিস থেকে প্রিন্ট হয়েছে। বিল অস্পষ্ট প্রিন্টের কারণে কোন গ্রাহক বিল দিতে না পারলে আগামী ১২ অক্টোবর শনিবার ও ১৩ অক্টোবর রবিবার সকালে বাগাতিপাড়া জোনাল অফিসে গ্রাহকরা বিল পরিশোধ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে জরিমানা টাকা নেওয়া হবে না বলে জানান।