নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগাতিপাড়া :
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বদ্ধ ঘরে বস্তাবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে ৪শ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত ৭৬ বস্তা রাসায়নিক সার ও ৪শ কেজি পাটবীজ। ফলে, সরকারি প্রকল্প যেমন কাজে আসছে না তেমনি ভাগ্য বদল হচ্ছে না প্রান্তীক পাটচাষীদের। কাগজে-কলমে ঠিক থাকলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সরকারি বিপুল অর্থ যাচ্ছে জলে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের অধীনে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পটি শুরু করে পাট অধিদপ্তর। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ২২শ জন প্রন্তিক কৃষকের তালিকা করেন উপজেলা পাট উন্নয়ন অফিস। ২২শ কৃষকের প্রত্যেকের বিপরীতে বিনামূল্যে ১ কেজি উন্নত পাটবীজ ও ১২ কেজি রাসায়নিক সার বরাদ্দ দেয় পাট অধিদপ্তর।
সরেজমিনে উপজেলার বাগাতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে দেখা যায়, পরিষদের হল রুমে ৪টি বস্তায় কৃষকদের বরাদ্দের ৪শ কেজি পাটবীজ ফেলে রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের পূর্ব দিকের নীচতলায় অপর একটি কক্ষের তালা খুলতেই দেখা মিলে ৭৬ বস্তা রাসায়নিক মেঝেতে সাজানো। বরাদ্দকৃত সার ও পাটবীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ না করে এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বাগাতিপাড়া উপজেলা উপসহকারি পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় বলেন, প্রকল্পের নিয়ম মেনেই তিনি উপস্থিত থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রান্তিক পাট চাষীদের মাঝে বরাদ্দকৃত সার ও বীজ বিতরণ করেছেন। এছাড়াও বিতরণকৃত কৃষকের তালিকা জেলা অফিসে প্রেরণ করেছেন।
বাগাতিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান জানান, বীজ বিতরণ করার কথা প্রকল্পের অফিস থেকে, কিন্তু তারা আমাদের পরিষদে পাঠিয়েছে। বীজ ও সার দেরিতে আসায় এবং অনেক কৃষকের পাট বপন শেষ হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা আর বীজ ও সার নেয়নি। ফলে, সব বীজ এবং সার পরিষদেই পরে আছে। কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
নাটোর জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, বিতরণ শেষে বরাদ্দের কোনো বীজ বা সার অবশিষ্ট থাকার কথা না। আগামী সপ্তাহে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।