বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ১৪ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / বাগাতিপাড়া / বাগাতিপাড়ায় ফিরে এসেছে ১০ বছর আগের আতঙ্ক ভয়ে চার উপজেলার মানুষের চলাচল বন্ধ

বাগাতিপাড়ায় ফিরে এসেছে ১০ বছর আগের আতঙ্ক ভয়ে চার উপজেলার মানুষের চলাচল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
‘পকেটখালি’। এই সড়ক দিয়ে গেলেই মানুুষের পকেটখালি হয়। শুধু পকেট-ই খালি হয়না। রিতিমতো স্বর্বস্ব হারাতে হয় পথচারীদের। এটি ১০ বছর আগের কথা। তবে এখন আবার সেই আতঙ্ক-ই ফিরে এসেছে। সুনসান এই সড়কে সন্ধার পর আর কেউ চলাচল করেন না।

অথচ বাগাতিপাড়া, বাঘা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলার মানুষ বাগাতিপাড়ার এই জামনগর ‘পকেটখালি’ হয়ে চলাচল করেন। মূলত ডাকাতের এই উৎপাতারে কারণে স্থানীয়রা জামনগর এলাকাটিকে ‘পকেটখালি’ নাম দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, সড়কটি জনগুত্বপূর্ণ হওয়ায় জামনগর এলাকায় ডাকাতি বন্ধে পুলিশ ফাঁরি চালু করা হয়। এরপর প্রায় ১০ বছর নির্বিঘ্নে চলাচল করেছেন এই চার উপজেলার মানুষ। কিন্তু এখন পুলিশের সদস্য কম থাকায় ফাঁরিটি ৮মাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফাঁরি বন্ধের সাথে সাথে আবার বেড়েছে ডাকাত দলের তৎপরতা। ডাকাতের হাতে জান-মাল হারানোর ভয়ে ওই সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল নেই বললেই চলে। রাজশাহী ও নাটোরের চার উপজেলার মানুষের মধ্যে আবারো পুড়নো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রায় ২ বছর আগে থেকেই পকেটখালির এই পুলিশ ফাঁরিটি নিরাপত্তার অজুহাতে সরিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন ছিল। তবে এখন পুলিশ ফাঁরিটি সত্যি তুলে নেওয়া হয়েছে। রাতের আঁধারে ডাকাতের উৎপাত বেশি। এখন আবার দিন-দুপুরেও ছিনতাইকারী ও ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সবকিছু লুটে নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জামনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সড়কে লাগাতার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসব ছিনতাইয়ের পরে স্থানীয় ও পথচারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দেয়। মূলত স্থানীয় এবং এই সড়কের ওপর নির্ভরশীলদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ২০১১ সালে পকেটখালি পুলিশ ফাঁড়িটি স্থাপন করা হয়। ফাঁড়িটি চালুর পর থেকে এই সড়কে আর ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হঠাৎকরে ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেওয়ায় ডাকাতদল এবং ছিনতাইকারীরা আবারো তৎপড়তা শুরু করেছেন।

জামনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আখতার আলীসহ অন্তত ১০ জন ভ্যান চালক জানান, দিনের আলোয় কোনোমতে চলাচাল করা গেলেও সন্ধ্যার পর থেকে জনশূণ্য হয় সড়ক। তিনি বলেন, এরআগে পুলিশ থাকায় সাহস নিয়ে জীবিকার তাগিদে রাতেও ভ্যান চালিয়েছেন। কিন্তু এখন সন্ধার পর বের হলেই ডাকাতির ভয় ঘিরে ধরে। পুলিশ ফাঁড়িটি সচল করে পকেটখালির এই সড়কটিকে নিরাপদ করার দাবি তাদের।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, শুধু পকেটখালি নয়, ফোর্স সংকটের কারনে দেশের একাধিক পুলিশ ক্যাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে নিয়মিত টহল টিম পাঠানো হচ্ছে।

নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের নাটোর জেলা শাখার সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়ক নিরাপদ রাখার স্বার্থে ও পথচারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে খেয়াল করে ফাঁড়িটি দূত চালু করার জন্য কতৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ফাঁড়ি বন্ধ করা হয়নি। ফোর্স সংকট থাকায় স্থায়ী ভাবে পুলিশ রাখা সম্ভব হচ্চেনা। তবে টহলটিম প্রতিনিয়ত ওই এলাকায় নজর রাখছে। ফোর্স বাড়লেই আগের মতো স্থায়ী ভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …