নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
বাজারের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চাল ও আটা কিনতে খাদ্য অধিদপ্তরের ন্যায্যম‚ল্যের দোকানগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। সপ্তাহের ৬ দিন পৌর এলাকার নিম্নআয়ের মানুষরা ৩টি পয়েন্ট থেকে ন্যায্যম‚ল্যের এই চাল ও আটা কিনছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় স‚ত্রে জানা গেছে, সরকার গত ২৫ জুলাই থেকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলার পৌর এলাকার ৫টি ডিলারের মাধ্যমে ৩টি পয়েন্টে একযোগে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই দোকানগুলো থেকে যে কেউ পাঁচ কেজি চাল অথবা আটা কিনতে পারবেন। আর সপ্তাহের ৬ দিন এই কর্মস‚চির আওতায় প্রতি ডিলারকে ১ হাজার ৫০০ কেজি চাল এবং ১ হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৮ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে।
মালঞ্চি বাজারের ওএমএস ডিলার এনামুল হক বলেন, বাজারে বাড়তি দামে চাল ও আটা কিনতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। তাই ন্যায্যম‚ল্যের এই চাল ও আটার চাহিদা বরাদ্দের কয়েকগুণ বেশী হওয়ায় চাপ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এজন্য বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ঘোরলাজ এলাকার মোঃ কাফি বলেন, এখানে অনেক কম দামে চাল ও আটা পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে চালের দাম অনেক বেশী। তাই চাল কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।
যোগিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আতাউল ইসলাম বলেন, বাজারের তুলনায় ন্যায্যম‚ল্যের দোকানে চাল ও আটা দাম অনেক কম হওয়ায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও চাল পেয়ে খুশি তিনি ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম বলেন, উপজেলার পৌর এলাকায় ৩টি পয়েন্টে সাড়ে ৪ হাজার কেজি চাল এবং ৩ হাজার কেজি আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরবর্তি নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …