নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগাতিপাড়া: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একব্যক্তির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অধ্যক্ষের বাধায় অন্যত্র সরিয়ে মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং শ্মশানঘাটের কর্তৃপক্ষের মধ্যে জায়গা নিয়ে জটিলতায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার তমালতলা মহাশ্মশান ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও মৃতের স্বজনরা জানায়, উপজেলার বাগাতিপাড়া সদর গ্রামের মৃত নেপাল সরকারের ছেলে কাঞ্চন সরকার (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে বুধবার মারা যান। পরদিন বৃহস্পতিবার শেষকৃত্যানুষ্ঠানের জন্য সকাল ১১ টার দিকে তমালতলা মহাশ্মশাণ ঘাটে লাশ আনা হয়। সেখানে ঘাটের পূর্বদিকে মৃতের সমাধি খোঁড়া হয়। কিন্তু তমালতলা কৃষি ও কারিগরি ডিগ্রী কলেজের জমি বরাবর বড়াল নদীর চর নিজেদের দাবি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই সমাধিতে বাধা দেন।
তমালতলা মহাশ্মশানঘাটের সাধারন সম্পাদক মনোতোষ সরকার জানান, প্রায় ২০০ বছর ধরে বড়াল নদীর তীরে নদী পর্যন্ত জমিতে হিন্দু স¤প্রদায়ের মৃতদেহের সমাধি করা হয়। কখনও কেউ তাতে বাধা দেয়নি। কিন্তু কলেজের জমি দাবি করে প্রথমে নৈশ প্রহরী গেদা এবং পরে অধ্যক্ষ পরিমল কুমার কুন্ডু খোঁড়ার পরও বাধা দিয়ে শ্মশানের দিকে সরিয়ে সমাধি দিতে বলেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকও হয়। কোন সমাধান না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দুই ঘন্টা পর পূর্বের জায়গা থেকে প্রায় ৫০ গজ পশ্চিম দিকে সরিয়ে নতুন করে খুঁড়ে মরদেহ সমাধিস্থ করা হয়। তিনি বলেন, এ নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ পরিমল কুমার কুন্ডু জানান, বড়াল নদীর পানি পর্যন্ত কলেজের নিজস্ব জমি। বড়াল নদীর তীরে বর্তমান শ্মশানঘাট থেকে অন্য আরেক ব্যক্তির জমি ডিঙ্গিয়ে কলেজের ওই জমিতে তারা সমাধি করছিল। বিষয়টি কলেজের নৈশ প্রহরী গেদা দেখে তাকে জানালে তিনি শ্মশানঘাট কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেন। পরে কলেজের জমির পূর্ব অংশ থেকে সরিয়ে পশ্চিম দিকে কলেজের জমিতেই সমাধিস্থ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন জটিলতা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। মৌখিক বা লিখিতভাবে কেউ তাকে ঘটনাটি জানাননি।
আরও দেখুন
নাটোরে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক …………… নাটোরে গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মিজ আসমা শাহীন। জেলা প্রশাসনের …