নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
গতকাল পর্যন্ত নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এক চিকিৎসক, এক স্বাস্থ্যকর্মী, এক চাকুরীজীবি ও এক পুলিশ সদস্য সহ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৩ জন। ইতিমধ্যে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করাও হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নানা কার্যক্রম। তাগাদা দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য।
অথচ আজ শনিবার ২০ জুন বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কিলোমিটারের মধ্যে বসেছে গরুর হাট। সেখানে শত শত মানুষ গায়ের সাথে গা লাগিয়ে করছেন গরু বেচাকেনা নেই কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই। ৯০ ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। অথচ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে চলতে। ঘোষণা দেয়া হয়েছে নো মাস্ক নো সেল। ওই গরু হাটের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই যে করোনা নামক মরণ ভাইরাস বলে কিছু আছে। যে ভাইরাসে প্রতিদিন সারাবিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। আতংক ছড়িয়ে আছে সারাবিশ্বে। ঘোষণার পরেও যদি এই হাল হয় তাহলে সাধারণ মানুষদের আর কি বলার থাকে। দেখবার যেন কেউ নেই।
একজন গরু বিক্রেতার কাছে করোনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিআইপি মানুষের জন্য করোনাভাইরাস, এগুলো আমাদের মত সাধারণ মানুষের হবে না। এই যদি হয় সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনা তাহলে সরকারি নির্দেশনার মূল্য কোথায়, এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এমন প্রশ্ন সচেতন নাগরিকদের?
মালঞ্চি হাটের ইজারাদারদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তারা সাংবাদিক দেখেই সটকে পড়েন।
বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছেন এবং সেবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল। বারবারই এই বিষয়গুলো মনিটরিং করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে বারবার বোঝানো হচ্ছে, কিন্তু কেন যে মানুষগুলো নিজের প্রাণের মায়া করছেনা, কোনো নিয়ম মানছে না এটা তার বোধগম্য হয়না বলেও জানান তিনি।