নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দয়ারামপুর বাজারে রোগাক্রান্ত অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির সময় তা জব্দ করেছে উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। পরে ইউএনও’র নির্দেশে জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলে নষ্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দয়ারামপুর বাজারে এলাকার আবু বকরের ছেলে মাংস বিক্রেতা মিজান সোমবার দিবাগত রাতে একটি রোগাক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়া এক গরু জবাই করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে দয়ারামপুর বাজারে ওই মাংস বিক্রি করছিল। স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে খবর পেয়ে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা এবিএম আলমগীর দ্রুত বাজারে গিয়ে মিজানের দোকানে ও বাসায় নোংরা পরিবেশে ফ্রিজে রাখা ওই গরুর সব মাংস জব্দ করেন। এ সময় প্রাণীসম্পদ অফিসের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল মোত্তালেব (ভিএফএ) উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে গরুর মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি গরুটি এর আগে ৫০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন।পরে গরুটি অসুস্থ হলে গ্রাম্য পশু চিকিৎসককে দেখানো হয়। তাতেও সুস্থ না হওয়ায় অসুস্থতার খবর জানিয়ে মাংস বিক্রেতা মিজানের কাছে মাত্র ১২হাজার টাকায় গরুটি বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে মাংস বিক্রেতা মিজান মুঠোফোনে বলেন, কম দামে পাওয়ায় তিনি অসুস্থ সত্ত্বেও গরুটি কিনেছিলেন। তবে অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করে তিনি ভূল করেছেন। দীর্ঘ দিন থেকে মাংস বিক্রিতে তার সুনাম রয়েছে। এদিক বিবেচনা করে ওই ঘটনার জন্য তিনি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম আলমগীর অসুস্থ মাংস বিক্রির সময় জব্দের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে জব্দকৃত মাংস পুঁতে ফেলা হয়েছে।
ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মিজানের মাংস বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …