নিজস্ব প্রতিবেদক:
“প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই স্লোগানে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমিন ওই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। তবে মেলা নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। যা নিয়ে স্থানীয় ও খামারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বরাদ্দের একটি বড় অংশ নয়ছয় হয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকেই। মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ৪০ টি স্টল বরাদ্দ থাকলেও পনেরোটিই ছিল খালি। এছাড়া অংশনেয়া স্টলেও উল্লেখযোগ্য কোন প্রদর্শনী পরিলক্ষিত হয়নি। অপরদিকে আমন্ত্রিত উল্লেখযোগ্য কোন অতিথিই অংশ নেননি উক্ত অনুষ্ঠানে।
এছাড়া স্টল সহ মেলা প্রাঙ্গনে ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় ক্লান্ত হয়ে পড়ে অনেক প্রাণীসহ মেলায় আসা ব্যাক্তিরা। এ মেলায় প্রাণী নিয়ে আসা খামারিরা বলছেন, দায়সারাভাবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও আয়োজনের বেশ কিছু অসংগতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সকালে কোন নাস্তাও দেয়া হয়নি আমরা খুব কস্ট পেয়েছি। তারা আরো বলেন, এই মেলায় নানা রকম সমস্যা ছিল। যেগুলো হওয়ার কথা না।পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচিত দেখে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগও উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন, ‘অফিসের সঙ্গে পরিচয় নাই, কোনো সুবিধাও নাই।
বাজেট তো ভালোই পেয়েছে শুনলাম, তাহলে মেলার এই অবস্থা কেন?’ মেলায় অংশ নেয়া উপজেলার মাছিমপুর এলাকার এক খামারি জানান, সকাল দশটা থেকে একটা পর্যন্ত বসায় রেখে অখ্যাত কোম্পানির একটি বালতি দিয়ে বিদায় করা হয় অংশগ্রহণকারীদের।আর মুখ চিনে চিনে দেয়া হয় পুরষ্কার। এ দিকে মেলা চলাকালীন সময় ওই হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া ব্যাক্তিরা পড়েন আরেক বিপাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেবা না দিয়ে সেবা গ্রহীতাদের দীর্ঘ সময় দাড় করিয়ে তারা মেলার কাজে ব্যাস্ততা দেখান। সেবাগ্রহীতাদের দাবি আমাদের সেবা না দিয়ে ওসব মেলা করে কি লাভ। অনুষ্ঠানে কত টাকা বরাদ্দ ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু হায়দার বলেন, পরে জানানো হবে। আর মেলার এসব সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সব মিথ্যা কথা।