নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়াঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দু’পক্ষের মারামারিতে ৯ জন আহতের ঘটনায় মামলার আসামী ইউপি সদস্য আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঁকা এলাকায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটলে বুধবার সন্ধায় মামলা গ্রহন শেষে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়। আহতদের ৬ জনকে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতরা হলেন, পাঁকা গ্রামের নিয়ামত আলীর ছেলে শাহিন (৩২), শফিকুলের ছেলে শাকিল (২৬), মৃত বাদলের ছেলে রেজাউল করিম (৫২), মৃত আসমতের ছেলে সাজদার (৫০), মৃত ময়েজের ছেলে ওসমান গনী (৭২), ওসমান গনী’র ছেলে শফিউর রহমান (২৫) ও রেজাউল করিম রিপন (৩৩), মুনছুরের ছেলে রনি (২২) এবং অপর পক্ষের মিজানুরের ছেলে রিয়াজুল (২৩)।
আহত শাহীন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় পাঁকা কালি মন্দিরে টিআর বরাদ্দের প্রকল্প জমা দেয়া নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন তাকে গালিগালাজ করেন। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে পাঁকা বাজারে তাকে জালাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। তিনি অভিযোগ করেন, মারপিটের সময় তার কাছে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর দলবদ্ধ হয়ে তার (শাহিন) পক্ষের ৮ জনকে তারা পিটিয়ে আহত করে। তাছাড়াও একই বাজারের অপর একজন ডেকোরেটর মালিককে পিটিয়ে দোকানের মালামাল লুট করে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জালাল উদ্দিন দাবি করেন, টিআর প্রকল্পের একটি কমিটি জমা দেওয়ার পরও স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে একই প্রকল্পের পৃথক কমিটি জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল শাহিন ও তার লোকজন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য গন্ডোগোল হয়েছে। সেসময় তার লোকজনও আহত হয়েছে। তবে লুটপাট বা টাকা নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, মারপিটের ঘটনা শুনে তিনি নিজেই ঘটনা স্থলে গিয়েছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে উভয় পক্ষই আহত হয়। এঘটনায় আহত শাহীনুর বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে মামলা হিসেবে গ্রনকরে মামলার দুই নম্বর আসামী ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।