নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে থাকা গাছের ডাব ও সুপারি বিক্রি নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে এসব গাছের ফল বিক্রির নির্দেশনা রয়েছে। তবে চলতি মাসে বিক্রিত ডাব ও সুপারি বিক্রির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। ডাব ও সুপারির পরিমান সম্পর্কে যেমন জানেন না কর্তৃপক্ষ, তেমনি বিক্রি মূল্যের টাকার সঠিক বন্টন নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।
জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে বাগাতিপাড়া উপজেলা চত্ত্বরে থাকা বেশ কয়েকটি গাছের ১৪৫টি ডাব ও ২৫শ সুপারি বিক্রি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এই ডাব ও সুপারি বিক্রি করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনের গৃহকর্মী পারুল বেগম। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে সেখানকার উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সংযুক্ত) বজলুর রশিদের কাছে জনাতে চাইলে তিনি বলেন, ডাব-সুপারি বিক্রি করা হয়েছে ইউএনও স্যারের উপস্থিথিতিতে। তবে সেই ডাব-সুপারি বিক্রির অর্থ রাজস্ব খাতে জমাদানের সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি ডাব ও সুপারি বিক্রির দায়িত্বে ছিলেন ওই কার্যালয়ের মালি পদে কর্মরত সুজন আলী।
অপর দিকে সুজনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার উপস্থিতিতে দরদাম থেকে শুরু করে টাকা নেওয়া সবই করেছে ইউএনও স্যারের গৃহকর্মী পারুল বেগম। এ দিকে সচেতন মহলের দাবি, অফিসের এত স্টাফ থাকতে একজন গৃহকর্মী হয়ে সরকারি সম্পদ এভাবে বিক্রি করবে যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। গৃহকর্মীর এহেন কান্ডে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এ বিষয়ে জানতে ডাব ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার ও সুপারি ক্রেতা শামসুল আলম জানান, দুই বারে প্রতিপিস ৫০ টাকা দরে ১৪৫ টি ডাব ৭ হাজার ২শ ৫০ টাকায় ক্রয় করেন ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার।
অপরদিকে ২১শ ৪০ টাকায় ২৫শ সুপারি ক্রয়ের কথা জানান সুপারি ক্রেতা শামসুল আলম। ডাব ও সুপারি বিক্রি মূল্যের টাকা তারা দুজনেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের গৃহকর্মী পারুল বেগমের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন।এবিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাইমেনা শারমীন জানান, নিয়ম মেনেই গাছের ডাব ও সুপারি বিক্রি করা হয়েছে। ডাব বিক্রির কিছু টাকা মসজিদে দান করা হয়েছে। বাকি টাকা রাজস্ব খাতে জমা দেয়া হয়েছে।