নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল রেশমি খাতুন নামে এক কিশোরী।
এ ঘটনায় কনে পক্ষের অভিভাবকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের স্বরুপপুর জামাইপাড়া গ্রামে। রবিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। কনে ওই গ্রামের শামিম হোসেনের মেয়ে রেশমি খাতুন (১৬)। আর বর হচ্ছেন জেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা লালপুরের আব্দলপুর এলাকার বাসিন্দা।
কনে স্থানীয় সাইলকোনা ল্যবরেটরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার স্বরুপপুর এলাকায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে এক ছেলের বিয়ের আয়োজন চলছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার কনের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এবং কনের পরিবারকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে দেবেন না মর্মে পরিবারের অভিভাবকের কাছে মুচলেকা গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা সরকার বলেন, মেয়ের প্রকৃত বয়স ১৬। তবে কনে পক্ষ জাল জন্ম সনদ তৈরি করে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল। তিনি আরো বলেন বাল্য বিবাহ বেআইনি। বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে ওই গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।