বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার গতকাল শনিবার ভোরে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মার্কিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আফরিন আক্তার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি সত্যিকার গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে।
যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, আগামী ৫০ বছরে দুই দেশের মধ্যে আরো শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
আফরিন আক্তার বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দুই দেশের জনগণ, সরকার ও অর্থনীতির মধ্যে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।
আফরিন আক্তার দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর বলেও উল্লেখ করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে অর্থনৈতিক শক্তিতে সম্প্রসারিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে বের করে এনেছে এবং মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জন করবে। এটি সত্যিই অসাধারণ এবং গর্ব করার মতো গল্প।
আফরিন আক্তার অর্থনৈতিক সহযোগিতার বাইরেও কভিড-১৯ টিকা সরবরাহ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতা ও ৩০ লাখ শহীদের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যের কথা জানান। তিনি এ লক্ষ্য পূরণে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।