নিউজ ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের ফলে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে দেশের প্রয়োজনীয় সব খাতে অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর।
শনিবার (১ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার এ ঘোষণাটি দিয়েছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিঙ্গাপুর অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাতে অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিভাবান কর্মীরা যাতে সিঙ্গাপুরে এসে সমাদৃত বোধ করেন, সেটি নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে তারা সিঙ্গাপুরবাসীর পরিপূরক হয়ে উঠবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সিঙ্গাপুর সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, চীন এবং ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই চার দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি। তবে কোন দেশ থেকে কতসংখ্যক কর্মী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।
তিনি বলেছেন, ২০২২ সাল হবে রূপান্তরের সময়। দেশের অর্থনীতি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং এই নগর রাষ্ট্র বাকি বিশ্বের সাথে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করছে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান বলছে, প্রত্যেক বছর গড়ে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ এশিয়ার নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে কাজের সন্ধানে যেতেন। করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর বাংলাদেশি কর্মীদের সিঙ্গাপুরে পাঠানো হ্রাস পায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১০ হাজার ৮৫ জন কর্মী সিঙ্গাপুরে যান।
এরপর গত বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে ১২ হাজার ১৩৯ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গেছেন। করোনার কারণে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকায় সিঙ্গাপুরে এর পর থেকে আর কোনো কর্মী পাঠানো যায়নি। করোনা মহামারী শুরুর আগে ২০১৯ সালে বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে ৪৯ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশি সিঙ্গাপুর যান। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে যান ৪১ হাজার ৩৯৩ জন, ২০১৭ সালে ৪০ হাজার ৪০১ জন বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে পাড়ি জমান।