নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে বিমান চলাচল আরো একধাপ এগিয়ে গেলো। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে বিমান সেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর ও ঢাকার মধ্যে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগের জন্য বিমান চলাচল শুরুর পথ প্রশস্ত করবে।
গতকাল বুধবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোহিবুল হক ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার নিজ নিজ পক্ষে এই চুক্তিকে স্বাক্ষর করেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দুই দেশের মধ্যে অনুস্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিমান চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।
মুক্ত আকাশ নীতির ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় দেশ যেকোনো সংখ্যক বিমান সংস্থাকে তাদের মনোনীত বিমান সংস্থা হিসাবে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য মনোনীত করতে পারবে। প্রত্যেক দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা দুই দেশের মধ্যে আকাশের তৃতীয় ও চতুর্থ মুক্ত অধিকারে যেকোনো এয়ারক্রাফট দ্বারা যে কোনও সংখ্যক যাত্রী বিমান ও কার্গো বিমান পরিচালনা করতে পারবে। দুই দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা আকাশের পঞ্চম মুক্ত অধিকারে যে কোনও মধ্যবর্তী কিংবা দূরবর্তী পয়েন্টে যেকোনো বিমান দ্বারা যে কোনও যাত্রী বিমান ও কার্গো বিমান পরিচালনা করতে পারবে। সেই সাথে উভয় দেশ কোড শেয়ারিং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি দুই দেশের বিমান যোগাযোগ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে দুই দেশের এভিয়েশন শিল্পের নানান বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। আজকের এই বিমান যোগাযোগ চুক্তি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বের দৃঢ়তার নিদর্শন।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাব ও পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশের সকল বিমানবন্দরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলমান রয়েছে। ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিমানবন্দরসমূহে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে। আইকাও এর প্রতিবেদনেও এর প্রতিফলন হয়েছে।