সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি প্রদান করার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল নয়াদিল্লিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান এবং আইসিডব্লিউএ মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের খুব বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। এই বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১০ লাখ উদ্বাস্তুকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, মুজিবনগর সরকারের জন্য জায়গা দিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অংশীদারি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সীমাবদ্ধ নয়, যেটা আমাদের সম্পর্কের জন্য আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আমাদের বিস্তৃত অংশীদারি এখন আরও পরিপক্ব, গতিশীল এবং কৌশলগত। আর এই অংশীদারত্ব সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংযোগ ও আদান-প্রদানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী ও প্রসারিত হয়েছে। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূলে এখন জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ, বাণিজ্য, ব্যবসা এবং সংযোগের ওপর আরও মনোনিবেশ করা দরকার, যা উভয় পক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মতবিনিময় ও আদান-প্রদান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও শক্তিশালী, বৈচিত্র্যময় ও প্রসারিত করেছে।

কভিড পরিস্থিতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কভিড-১৯ এর আরোপিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমাদের দুই দেশের সব স্তরের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী রয়েছে। কভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় আমাদের মধ্যে সহযোগিতা খুব স্পষ্ট ছিল। মৈত্রী দিবস বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একটি উপলক্ষ। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আগামী কয়েক দশক ধরে আমাদের দুই দেশের জনগণ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণাকে বাস্তবে পরিণত করবে। অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক দিবস। ১৯৭১ সালে এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘ থেকে এলডিসি থেকে উত্তরণে তিনি স্বাগত জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বরাবরই বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক আগামী দিনে আরও দৃঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী হবে।

মৈত্রী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রচারিত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরও দেখুন

সভাপতি আব্দুল আলীম,সম্পাদক ফারুক হোসেন

রাণীনগরে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,,,,,,জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ঐক্য পরিষদের  নওগাঁর রাণীনগর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *