সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাণীনগর: তৎকালীন সময়ের চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক গৃহায়ন ও
গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিমের
মধ্যে কোন দাঙ্গা নেই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হিন্দুরাও অংশ নিয়েছে। ওই
আন্দোলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাতজন নিহত হয়েছে। অথচ প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রধান মন্ত্রী
নরেন্দ্র মুদি ভারতে বসে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। এই
চেষ্টা কোন ভাবেই সফল হবেনা। এই দেশ হিন্দুর দেশ,এই দেশ মুসলিমের দেশ। এই দেশ, দেশে
বসবাসরত সকল ধর্মের মানুষের দেশ। তাই ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবেনা। সাবেক এই
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ
থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ এখন ভারতীয় আগ্রাসন মুক্ত হয়েছে। এই দেশকে যারা ভালো
বাসেন এবং দেশ প্রেমিক ছিলো সেইসব সেনা অফিসারদের পিলখানায় হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে
জাতিকে মেধা শুন্য করেছে শেখ হাসিনা। দেশের প্রধান মন্ত্রী থাকা অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে
ধ্বংস করেছে। ব্যাংক, বীমা লুটপাট, ব্যবসা বানিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়
সবকিছু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। এই লুটেরাদের বিচার এই দেশেই হবে। তিনি
অন্তবর্তীকালিন সরকারে থাকা উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে বলেন,আপনারা অত্যন্ত ভাল মানুষ।প্রধান
উপদেষ্টা ড. ইউনুস বিশ্বমানের নেতা। তিনি অনেক দেশের সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর চাইতে
অনেক বেশি মর্যাদাশীল।আমরা আপনাকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে পেয়ে গর্বিত। আমরা
আপনাদেরকে রাষ্ট্র সংস্কারে সময় দিতে চাই। দেশের মানুষ আসা করছেন,আপনারা একটি অবাধ
গ্রহণযোগ্য ও নিরোপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁর রাণীনগর
উপজেলা সদর বাজার চৌরাস্তা মোড়ে জনসমাবেশে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রাণীনগর থানা বিএনপি আয়োজিত ব্যানারে অনুষ্ঠিত
সন্ত্রাস,ভাংচুর,চাঁদাবাজী,দখলবাজী,অগ্নিসংযোগ,লুটপাটের বিরুদ্ধে “বিএনপির
জনসমাবেশ“ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা আকবর হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন, থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মাষ্টার, মাহমুদুল হাসান মধু,
শহীদুল ইসলাম সুইট, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন টনি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র
আন্দোলনের নেতা ইবনে ফাহাদ, সাবেক ছাত্র নেতা সুলতান মাহমুদ পলাশ, জাতীয়তাবাদী সৈনিক
দলের সভাপতি পাভেল রহমান, জিয়া সাইবার ফোর্সের রাণীনগর শাখার সভাপতি শামীম হোসেন
প্রমূখ।