নিউজ ডেস্ক:
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দুরন্ত গতিতে ছুটছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সুবর্ণজয়ন্তীর মুহূর্তে সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে তার হয়তো ভুরিভুরি উদাহরণ দেওয়া যায়। দুই দেশের মুদ্রার মান তুলনা করলেও বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের ১০০ রুপির মান ছিল বাংলাদেশের ১৬৫ টাকার সমান। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে ঠিক তার উল্টো। রুপির চেয়ে টাকার মান বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাংলাদেশের ১০০ টাকার জন্য এখন পাকিস্তানে ২০০ রুপির বেশি খরচ করতে হবে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন মানের ক্ষেত্রে নিজেদের আগের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানি রুপি। এদিন এক ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা বিনিময় হার দাঁড়িয়েছে ১৭৭ দশমিক ৯৮ রুপিতে। পাকিস্তানের ইতিহাসে রুপির মান আগে কোনোদিনই এত নিচে নামেনি।
আর বাংলাদেশের মুদ্রাবাজার পরিস্থিতি বলছে, একই দিন মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার ক্রয়মূল্য ছিল ৮৪ দশমিক ৮৫ এবং বিক্রয়মূল্য ৮৫ দশমিক ৮৫। এটি হিসাব করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের এক টাকা সমান পাকিস্তানের ২.০৭ রুপি প্রায়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, মুদ্রার মান পতনের গতি কমাতে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনাগ্রহই মূলত রুপির নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা করেছিল। প্রায় সাত মাস ধরেই পাকিস্তানি রুপির মান নিম্নমুখী। গত ১৪ মে পাকিস্তানি রুপির মান রেকর্ড হয়েছিল ১৫২ দশমিক ২৭, যা আগের ২২ মাসের ভেতর সর্বোচ্চ। সেই থেকে এ পর্যন্ত দেশটির মুদ্রার মান কমেছে ১৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ২৫ দশমিক ৭১ রুপি।
নতুন করে ০.০৬ শতাংশ পতনের পাশাপাশি গত ১ জুলাই চলতি অর্থবছর শুরু হওয়া থেকে পাকিস্তানি মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ২০ দশমিক ৪৪ রুপি।
স্থানীয় মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিমূল্য পরিশোধের জন্য ডলারের বাড়তি চাহিদা পাকিস্তানি মুদ্রার ক্রমাগত অবমূল্যায়নে প্রভাব ফেলেছে। বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বিশ্লেষকদের ধারণা, পাকিস্তানে চলমান বাণিজ্য বিষয়ক উদ্বেগ, ডলারের ঘাটতিসহ নানা কারণে স্থানীয় মুদ্রা বাজারে চাপ অব্যাহত থাকবে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের মুদ্রাবাজার অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল