বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া ওই সমঝোতা স্মারকের একটি কোস্টাল সার্ভেলেন্স রাডার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের উপকূলে ২০টি রাডার সিস্টেম নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। যার ফলে এই নেটওয়ার্ক সমুদ্রপথে যেকোন সন্ত্রাসী হামলা শনাক্ত করতে পারবে । একই সঙ্গে প্রতিবেশীদের নৌ-সীমানায় দৃষ্টি রাখতে পারবে। এই রাডার সিস্টেম বাংলাদেশের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে নিরাপদ প্রহরী হিসেবে কাজ করবে।
এই নেটওয়ার্ক ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সম্পদ এবং দেশটির নৌবাহিনীর জন্য সহায়কের পাশাপাশি বাংলাদেশের উপকূলকেও দেবে নিরাপত্তা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত ভারতকে সহযোগিতা করে নিজেদের জন্যও সহযোগিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। দেশটি তার দেশের উপকূলীয় নিরাপত্তা যেমন চায়, তেমনি আমরাও চাই। সে মোতাবেক এই রাডার বসানোর সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এতে আমাদের উপকূলীয় নিরাপত্তাও জোরদার হবে। এমনকি এর মাধ্যমে অন্যকোনো ইস্যুতে আমরাও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহায়তা পেতে পারবো, এমনকি পাচ্ছিও।
এ বিষয়ে একজন কূটনীতিক বলেন, ভারত কেবল নজরদারি সরঞ্জাম দেবে। কিন্তু এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে বাংলাদেশের হাতে। বাংলাদেশ ও ভারত নিজ নিজ উপকূলীয় নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিনিময় করবে। এতে ভারতের তথ্যও বাংলাদেশ পাবে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি সরঞ্জামে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দেশ কিভাবে লাভবান হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে সংশ্লিষ্ট কূটনীতিক বলেন, এ ব্যবস্থার লক্ষ্য বিশেষ কোনো দেশের ওপর নজরদারি নয়। সারা বিশ্বে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় এটি একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।
বলা হচ্ছে, যেহেতু বাংলাদেশের জন্য কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতের ওপরেও পড়বে। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের লাগোয়া উপকূলে এই সিস্টেম চালু রাখলে তা দুদেশের সীমান্ত সুরক্ষায় কাজে দেবে।