নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশের দক্ষ পোশাক কর্মীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে জর্ডান। প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের পোশাক কর্মীরা কাজের জন্য পাড়ি দিচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে। বাংলাদেশের হাজার হাজার নারী চাকরি করছেন জর্ডানের পোশাকখাতে। এতে জর্ডানের অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশী নারীদের জন্য কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর আরব নিউজের।
বাংলাদেশ দক্ষ পোশাক কর্মীদের জর্ডানে পাঠানো শুরু করে ২০১০ সালে। সরকারী পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে এসব কর্মী পাঠানো হয়। কয়েকবছর ধরেই জর্ডানের পোশাকশিল্প ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। জর্ডানে বাংলাদেশী নারী কর্মীরা পোশাকখাতে কাজ করলেও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে তারা গৃহস্থালির কাজ করছেন। আম্মানে বাংলাদেশী দূতাবাসের তথ্যানুযায়ী, জর্ডানে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ হাজার নারী কর্মী কাজ করছেন। রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এ্যান্ড সার্ভিসেস কোম্পানির সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুস সোবহান বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমরা জর্ডানের পোশাকখাতে প্রায় ৫০০ নারী কর্মী নিয়োগ দিচ্ছি। এটা বাংলাদেশী নারীদের জন্য আয় করার ভালো সুযোগ। তারা দক্ষকর্মী হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের চাহিদা বেড়েছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে জর্ডানে মাত্র তিন হাজার ৭০০ কর্মী কাজের অনুমতি পান। কিন্তু চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১২ হাজারের বেশি নারী কর্মী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন। ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, আমাদের নারী অভিবাসীদের জন্য এটি খুব ভালো সুযোগ। কারণ তারা কোন নির্যাতনের ঘটনা ছাড়াই বেশি উপার্জন করতে পারছেন। জর্ডানের নিয়োগকর্তারা কাজের অনুমতি, যাতায়াত, বাসস্থান এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়াকরণের সব খরচ বহন করেন। আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, আমরা বাংলাদেশী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুবিধার্থে জর্ডান কর্তৃপক্ষ, জর্ডান চেম্বার অব কমার্স, জর্ডান গার্মেন্টস, এক্সেসরিজ এ্যান্ড টেক্সটাইল এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন এবং কারখানার মালিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তিনি বলেন, আরও বাংলাদেশী কর্মী আনার জন্য আমরা জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয়, অন্যান্য সরকারী সংস্থা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।