নিউজ ডেস্ক:
২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ও ভারত আরও সহায়তা করবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু আশা করা হচ্ছে এ বছর প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ঠিক থাকলে আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ এশিয়ার হালনাগাদ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেট’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক টিকাদান শুরু হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আগামী এক বছরে জোর পাবে। গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংকের ফ্লাগশিপ রিপোর্ট ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টসে’ চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। কিন্তু তা বেড়ে এবার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। যদিও বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মহামারীর প্রভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে নেমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়। এতটা দুর্দশায় এ অঞ্চলের অর্থনীতি সাম্প্রতিক ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। কিন্তু এখন এ অঞ্চলে শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে টিকাদান।
ফলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি ২০২১ সালে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। তবে পরের বছর এই হার হতে পারে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।