শুক্রবার , এপ্রিল ১৯ ২০২৪

বাংলাদেশের আদিবাসী

৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে আদিবাসী দিবস পালন আর্ করে। এরপর থেকে প্রতিবছর ৯ আগস্ট আদিবাসী দিবস হিসাবে পালি হয়। বাংলাদেশে এবার সরকারিভাবে আদিবাসী দিবস পালন করা হলাে না। আমি মনে করি এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণ খুবই সমীচীন হয়েছে। কারণ বাংলাদেশে প্রকৃত প্রস্তাবে কোন আদিবাসী নেই। আদিবাসী শব্দটি হিন্দি ও বাংলায় ব্যবহার করা হচ্ছে ইংরেজির Aborigine শব্দের প্রতিশব্দ হিসাবে। Chamber’s সংকলিও বিখ্যাও ইংরেজি অভিধান Aborigines e The Original or native inhabitants of a country. অর্থাৎ আদিবাসী বলতে বােঝায় কোন একটা দেশে আদিকাল থেকে বসবাসকারী জনসমষ্টিকে। দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ার কালাে মানুষদের। এরা অন্সেলির আদিবাসী । সাদা মানুষ যাওয়ার আগে এই কাল মানুষরা সেখানে বাস কর। একইাবে পশ্চিম গােলাথে বিভিন্ন রেড ইন্ডিয়ান গােষ্ঠির মানুষকে বলা বেওে পারে আদিবাসী। কারণ, সেখানে এারা বাস করছে ইউরােপ থেকে সাদা মানুষ আবার অনেক আগে থেকে।কিন্তু সর্ব্ এও সহজতাকে আদি বাসিন্দা কারা সেটা ঠিক করা যায় না। ইউরােপে ব্রাদি বাসিন্দা কারা সেটা নৃডিকরা বলওে পারেন না। একই ৩াবে বলা সহজ নয় দক্ষিণ এশিয়ার আদি বাসিন্দা কারা। একটা অক্চলের অনগ্রসর মানুষ সে দেশের আদিবানী এরকম ধরে নেয়া খুবই তুল। কারণ, একই দেশে একই মানবধাবার মানুষের এক জংশ গড়েছে সভ্য। কি তাদের মও মানুষেরই আর এক অংশ ঘেকে গেছে বনে জঙ্গলে। থাকতে চেয়েছে গেছে আদিম জীবনধারা আঁকড়ে। এই উপমহাদেশে এটা ঘটেছে। ব্রিটিশ নৃত্বিক রিজলেসাঁওতালদের বলেছেন দ্রাবিড় মানবধর্ম। সাঁওতালরা বনে থেকে গিয়েছে। কিন্তু দ্রাবিড়দের আর একাংশ, যেমন ৩ামিলরা গড়ে তুলেছে সভ্যতা। তামিলরা কোনােভাবেই এই উপমহাদেশে আগন্তক জাতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। তামিল এবং সাঁওতালদের মাথার আকৃতি একই রকম লম্বা। গায়ের রং কালাে। চুলমসৃণ ও ৩রঙ্গাকৃতি। এরা নিপ্রােদের মতাে নয়। নিপ্রােদের চুল পশমের মতাে পাক খাওয়া। মাথা লম্বা। ঠোট পুরুউন্টানাে। এবং মুখমন্ডল অগ্রপ্রসারি৩ (prognathic face)বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে এরকম মানুষ নজরে পড়ে না। ৩বে কারাে কারাে মতে সুন্দর বনের বিশেষ মেছে সম্প্রদায় এবং যশাের অঞ্চলের বাঁশপােড়দের (বাঁশ দিয়ে ঝুড়ি চাটাই বােনে যারা) মধ্যে এবকম মানুষ মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। ৩বে এরা সংখ্যা অতি নগন্য। গ্রিরা কৃষ্ণকায়। কিন্তু এদের চেহারা নিপ্রদের অনুরূপ নয়। এরা হলাে অনিগ্রো কালাে মানুষ। রিজলে এর মতে এই উপমহাদেশের মানুষের মধ্যে প্রধান তিনটি মানবধারা থাকতে দেখা যায়।এদের একটি হল সাদা, একটি হল পীাভা আব একটি হল কালাে। কিন্তু এই কাল মানুষ নিগ্রো মানৰ শাখাু্ নয়। সাদা, হলুদ এবং অনিগ্র কালাে মানুষের সংমিশ্রণ ঘটেছে এই উপমহাদেশে। ৩বে কারা এই উপমহাদেশের আদি বাসিন্দা সেটা ঠিক করা সম্ভব নয়। যারা কোন সভ্যতা গড় লওে পারেনি, থেকেছে আরণ্যক জীবনযাা আঁকড়ে, ৩ারা এই উপমহাদেশের আদিবাসী এরকম বলতে যাওয়া ভুল। কারণ, এদের আর একাংশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে সভ্যতা বা নগর জীবন।১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলার উৎরভাগে অবস্থিত পণু রাজার চিবি নামক স্থান খনন করে ৩-প্রস্তর যুগের সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। ৩ল্র প্রস্তর যুগ বলতে বােঝায়, মানব সভ্যতার এমন একটি পর্যায়, যখন মানুষ যথেষ্ট পরিমাণে প্রস্তর অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আর সেই সঙ্গে স্ক করেছে তামার মতাে খাও দ্রব্যের ব্যবহার। পা? রাজার টিবিতে মাটি খুঁজে পাওয়া গেছে ৩মার ৩ৈরি বড়শি। যার থেকে প্রমাণি৩ হয় এখানে বারা বাস করত, ৩রা ৩ামাৰ বড়শি দিয়ে মাছ ধর। পাণু রাজার চিবির খুবকাছে অজয় নদীর ধারে অবস্থিত বীরভূম জেলার মহিষাদল নামক জায়গায় মাটি খুঁড়ে একটি মৃৎ পাত্র পাওয়া গেছে। যার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে কিছু কয়লা হয়ে যাওয়া ধান। রেডিও কার্বন-১৪ পদ্ধতিতে এসব ধানের বয়স নির্ণীত ৩ হয়েছে ১৩৮০ থেকে ৮৫৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে। পাণ্ডু রাজার ঢিবি আবিষ্কৃ৩ বিভিন্ন জিনিস এবং মহিষাদলে পাওয়া ধানকে ধরা চলে একই সভ্যতার অংশ। কারণ এই দুই স্থানে যে মৃৎপাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে তা হল অবিকল এক। মৃৎপাত্রে আঁকা কালাে নকশাও একই ধরনের। যারা এই সভ্যতা গড়ে তুলেছিল তারামৃতদেহ দাহ করে না। সমাধিস্থ করা।পাণ্ডু রাজার চিবি অঞ্চলে তাম্র প্রস্তর যুগের ১৩টি মানব সমাধি আবিষ্কৃত হয়েছে। নৃত্বে মানুষকে মাথার আকৃতি অনুসারে মানুষকে তিনভাগে ভাগ করা হয়: লম্বা মাথা, মাঝারি মাথা ও গােল মাথা। লম্বা মাথার মানুষ বলতে বােঝায় এমন সব মানুষকে যাদের মাথার প্রস্থ দৈর্ঘ্যের শওক ৭৫.৯ তাঁগ এর কাছাকাছি অথবা ৩ার কম। মাঝারি মাথার মানুষ বলতে বুঝায় যাদের মাথার প্রস্থ হল দৈর্ঘ্যের শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ৯ ভাগের মধ্যে। আর গােল মাথার মানুষ বলতে বােঝায় যাদের মাথার প্রস্থ ও দৈর্ঘ্য শওকরা অনুপাও হল ৮১ ৩ার বেশি। মাটি খুঁড়ে পাণ্ডু রাজার টিবিে যে সব মানুষের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে তারা হল মাঝারি মাথার।একাল নৃতাত্তি যে গবেষণা করেছেন, তা থেকে বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে দেখা যায় মাঝারি মাথার মানুষের প্রাধান্য থাকতে। অর্থাৎ নৃাণ্ডিক দিক থেকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সাযুজ্য আছে পাণ্ডু রাজার টিভিতে সেই অতীতে বসবাসকারী মানুষের। পাণ্ডু রাজার টিবিতে বসবাসকারী মানুষ মাছ ধরতাে। খাদ্যশস্য হিসাবে আবাদ কর৩ ধান। অর্থাৎ ৩াদের ছিল ৩ মাছের জীবন।এখনাে বাংলাভাষী মানুষের বস্তুগত সংস্কৃতির ভিওি হল ৩ ও মাছ। বাংলা ভাষা ভাষী মানুষ বেঁচে থাকে তাও মাছ খেয়ে। বমান বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে তা প্রস্তর যুগের কোন সjতর নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু হবার সম্ভাবনা যথেষ্টই আছে বাংলাদেশের সীমান্তের খুব কাছে পশ্চিমবঙ্গের ফারাজা থানায় ৩ প্রস্তর যুগের সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। মনে করা যায় যে, দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে এক সময়ে বাংলাদেশে এসেছিল ৩া প্রস্তর যুগে অনেক মানুষ; যারা উপনিবেষ্টি হয়েছিল এই দেশে। যাদের ধরা যেতে পারে এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা। আর এক কথায় আদিবাসী । সাধারণভাবে বাংলাভাষী মানুষের মাথার আকৃতি হলােমাঝারি থেকে গােল। উওর ও দক্ষিণ ভারতের মানুষের মতাে তাদের মাথার আকৃতি লম্বা নয়। উওর ও দক্ষিণ ভারতের মানুষের মাথার আকৃতি লম্বা। কিন্তু উওর ভারতের মানুষের মাথার মধ্যভাগ হতে দেখা যার উচু। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের মানুষের মাথা লম্বা হলেও তাদের মাথার মধ্যভাগ উচু হতে দেখা যায় না। অর্থাং উ দক্ষিণভারতের মানবধারা এদিক থেকে হলেও ভিন্ন।বাংলাদেশের মানুৰ উচ্চতায় মাঝারি। তাদের মুখে সাধারণও দাড়ি গোঁফের প্রচ্ থাকওে দেখা বায়। ৩দের অধিকাংশেৱ চোখ আৰ। গায়ের রং শ্যামলা। তাদের অধিকাংশের গন্ডের হাঁড় উচু ত্র। তাদের মুখমণ্ডল দেখে তাই মনে হয় না সমতল। কিন্তু বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আছে মঙ্গোলীয় মানবধারার প্রভাব। তাদের অনেকের গালের হাড় । অক্ষি কোটর খেকে কপাল এর কাছে নাকের উচ্চতা বেশি নয। তাই তাদের মুখমণ্ডল দেখে অনেক সময় মনে হয়। এটা মঙ্গোলীয মানব বের বৈশিষ্ট্য। এছাড়া মঙ্গেলীয় মানবধার মানুষের চোখের উপর পাওয় থাকে বিশেষ ধরনের ভজি। বে কারণে এদের চোখ দেখে মনে হয় ছােট। মঙ্গেলীয় মানবধাবামানুষের মুখে দাড়ি গোঁফের পরিমাণ সাধ হয় বথেষ কম। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের অনেকের মধ্যে সব বৈশিষ্টা খাক দেখা যায়। বিশেষ করে বাংলাভাষী মুসলমানদের মধ্যে।ইসলাম একটি প্রচারশীল ধর্ম। এর উদ্ভব হয়েছিল সেমিটিক মানবতার মানুষের মধ্যে। সেমিটিক নানবধারার মানুষের গারের রং লালচে সাদা। চুলের রং কালো। ক্ষুর আদল উপবাকার। নাকের উপরিগ হাতকাটা ধনুক্সেম বক। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এর মানুষ বিশেষ চেখে পড না। অ্াৎ মরা সেমিটিক মানবধার নই। আমরা গর্মে মুসলমান। ইসলাম ধর্ম যে বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করেছে এমন নয়। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া মানুষ গ্রহণ করেছে ইসলাম বারা হলাে মঙ্গোলীয মানবখার। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া মিলে এখন হল পৃথিবীতে সবচেয়ে মুসলিম অধ্যাধিও অঞ্চল। বমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই সেমিটিক মানবাব নন। ললনা বল কোন বিশেষ মানবধারা মানুষকে বুঝায় না।ধর্ম এবং মানবধারা সমর্থক নয়। এশাি ও মানবধারকে এক করে দেখা থায় ন আমরা বাংলা ষায় কথা বলি। অনেকের ম বাংলা হলাে আমােঠীয় গুৰাি। কিন্তু বাংলা প্রবেয়ে কিয়াল ছাড়া বাক্য গঠন করচলে। যা আ্ পরিবারের অন্য ভাষায় যায় না আম বা ইন্দো-ইউরােপীয় পরিবার ভাধায় যারা কথা বলে তারা সকলে এক মানবধারাু্ত নয়। যেমন ইউরােপে যা ইন্দো-ইউরেশীয় ভাষায় কথা বলে তাদের মধ্যে কম করে দেখা যায় তিনটি মানবধারা। যথা নর্দিকNordic), আলপাইনাAlpine) এবং মেডিটেরিয়ান(Mediterranean)। কশ ভাবাও ইন্দোইউরােপিয়ান পরিবারসহ। কিন্তু করা প্রধান পড়ে পূর্ব-বান্টি East Baltic) মানব ধারায়। ৩য় এরা সবাই হল বৃহৎ ককেশীয় মানবশাখা । ইংৱেল আমলে লােক গণনার বিবরণী ড্রাইভ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাইৰ লও বােঝানাে হয় এমন লােক সমষ্টি যা সংখ্যায় বেশি নয়। বাদের আছে একটি নিজস্ব ভাষা। যাৱা ৰামব্রেসংশও দুর্গম বন ও পাহাড়ি অঞ্চলে। যারা নিজেদের মধ্ে অনুব করে বিশেষ আবেগগও একা একা মনে করে ওাদের মধ্যে আছে উবগ এক্য। অর্থাৎ এদের আদি পূর্ব হলাে এক। এদের ধর্ম বিশ্বাস হলো এই।ইংরেজি ট্রাইব কথাটার বাংলা কব্রা হয় উপজাতি। উপজাতি বলতে বোঝানাে হয়, এরা মুল জাতি নয়। অন্য মূল কার মধ্যে এদের নাস। যারা এদের লনায় অনেক অগ্রসর ইংরেজ আমলে সাঁওতালদের একটি উপজাতি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। বাংলাদেশের ফলে অনেক সওলের বাস। কিন্তু তার এই অলর আদিবাসী নয়। তাদের এই অঞ্চলে নিয়ে আলে ইংরেজ নীলকর সাহেবরা নীল চাখে সাহায্য হবে ভেবে সেটা উনবিংশ শতাব্দীর দাগের কথা। সাঁওতালি অধিকাংশ বাস করেছেন সাবেক বিহার প্রদেশের ছাটনাগপুর বিগে এবং সাঁল পরগনা জেলায়। যা ছিল সাবেক বিহার প্রদেশের তালশুত্র বিভাগের একটি জেলা। কি্ধ বনানে সাবেক ছােটনাগপুর বিগ এবং সাঁওতাল পরগনা জেলাকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে তাৰ কাড়খন্ড প্রদেশ। ঝাড়খন্ড প্রদেশ সাঁওল ছাড়া আরও উপজাতি আছে যেমন উরাও মু, হাে। কি্ু এই নন কখ প্দেশের সরকাৰি ৰা করা হয়েছে হিন্দি, কেন উপজাতির ভৰিকে নয়। অথ্ বাংলাদেশে দাবি করা হয়ে সরকারিভাবে সাঁওতালি ভবা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের সাঁওলি বাংলাদেশে দলেদলে খ্রিস্টান হচ্ছে। ৩ারা কুঁকে পড়ছে ইউরােপীর সংস্কৃতির দিকে। অথচ সেই একই সঙ্গে দাবি করা হচ্ছে সাঁওতালি সংস্কৃতি সংরক্ষণের।২০০৭ সালে বাংলাদেশের এশিয়াটিক সােসাইটি ‘আদিবাসী জনগােষ্ঠী নামে একটি বই প্রকাশ করেছে। এরকম বই এশিয়াটিক সােসাইটির পক্ষ থেকে কেন প্রকাশ করা হয়েছে ৩া আমার বােধগম্য নয়। কারণ, বইটি পড়ে মনে হতে পারে বাংলাদেশে আছে নেক আদিবাসী জনগােষ্ঠী। যা আসলে আদৌ স নয়। বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলায় যে আরাকান (রাখাইন) বাস করে, ৩াদের এই বই:ত বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আদিবাসী। অথচ এই অঞ্চলে এদের পূর্বপুরুষের এসে উপনীত হয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে। অথবা উনবিংশ শাদ্দীর প্রারন্ধে। এর আগে এবা এই অঞ্চলে ছিল না মগ কওে ভ্রাম বাংলা ভাষায় সাধারণভাবে বুঝি আরাকান থেকে বাংলাদেশে আগত মঙ্গোলীয় মানবধারা মানুষকে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী জাগে অনেক না বল করে। এদের বক্তৰ এই অঞ্চলে আসে উনবিংশ শা্দীর শ্রারন্ে।আরাকান, মাকে এখন বলা হচ্ছে বাখাইন তা দক্ষিণ ব্রণের (মিয়ানমারে) রা ৰেনৰশায় ১৭৮৫ খ্রিস্টল দখল করে। বােপারা সৈন্য আরাকানে অনেক অত্যাচার ও লুট শাট ক কে। লে অ্টানশ শদীর মগে ইরান থেকে অনেক মগ পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় বাবা ও মহেশখালী নগদের এশিয়াটিক সোসাইটির এই বইংও বলা হয়েছে আদিবাসী বা ঐতিহাসিক দিক থেকে আদৌ সত্য নয় পক্ষান্তরে বলা মায় যে কবাজর মহেশখালী, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে যেসৰ শৰা ৰখাইন রান করে এদের বলা চলে না জনগ্রসর জনগােৱী। সাংস্কৃতিক দিক থেকে এদের ধর কয় খুবই উ।বাংলাদেশের জ্যোতি বেলায় লাকমা ( মা)গড়ছেন আদিবা দাম বাৰ লক্ষ হদে ওখাকমি আদিবাসীদের নিয়ে একটি পুণক রা ঘর। কিন্তু বাংলাদেশের সৰ উপজাতি কোন একটা বিশেষ ভৌগলিকএলাকায় বাস করে না। কথা বলে না কোন একটি মাএ ৩ায়। তাদের ইতিহাস, ধর্ম বিশ্বাস, অর্থনৈতিক জীবন এক নয়। সবেপরি ভারা সকলে এক মানবধারাহ নয়। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলার মগ (মারমা) এবং চাকমাদের মধ্যে লেগে আছে বিবাদ-বিসংবাদ। সন্তু লারমার একরই ধারণা বাস্তবায়ন প্রাই সহজসাধ্য নয়।অন্যদিকে বাংলাদেশের বাংলাভাষী মানুষ হল এদেশের ভূমিজ সন্তান। তারা যুগ যুগ ধৱেন করছে এখানে। আজকের পৃথক রাষ্ট্র বাংলাদেশ হলে তাদের সংগ্রামের ফল। এ দেশ কাকরবার জন্য যুদ্ধ করতে হলে অবশ্যই বা ৩া বৰে। সে মনবল ওাদের আছে। ওরা সন্তু লারমার ম কারাে হংকংকের ওয়ে ৩ দুৱাৰ নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের মধ্যে ব দিতে গিয়ে শেখ মুজিব তাদের বলেছিলেন বাঙালি হতে। কিন্তু মানে বলা হচ্ছে যে, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপজাতীয় স্বাধীন হবার যােগ্য। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভিন্ন হবার অর্থ দাঁড়াবে বাংলাদেশের দশ ভাগের এক এক মি চলে নায়া। বিরাট প্রাকৃতিক সম্পদ হারানাে এবং সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়া বাংলাদেশের মানুষ সেটা হতে দিতে পারে না। নানা বখন্ত্র চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্ৰঞ্চলে অনেক উপজাতি খ্রিষ্টান হয়েছে। হি বিদেশী খ্রিস্টান মিশনারী নাকি চাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলকে পূর্ব তিমুরের মতো একটি প্রদান রাষ্ট্রে পরিণত করা। নিম্ন ধারণা কাদের এজেন্ট আমরা জানি না। আমরা জানি না বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কালো খেলেছে। বাংলাদেশের বাংলা একাডেমি এমন নেক কিছু করছে মা বাংলাদেশের স্বা্থের অনুকুদে হজে না।আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীদের একাংশের কার্যকলাপ বেন হয়ে উঠতে ঢাকে খুবই দেশ বিরােধী।বাংলাদেশে গুবলে সাঁওলি নিয়ে বাম রাজনীতি নতুন নয় ১৯৫০ সালে কমিউনিস্ট ইলা মি ও কায় আানী রমেন মি চাঁপাই নবাবগঞ্জ েলার (এখন মহকুমা) নাচোল খানা ঘটান সাঁওল বিশ্রোহ। সাও এলিৱা নাচোল থানার িনন কনস্টেবণ ও নাকোকে হা করে। জাল কাগ আৰু নীও লিদের পর।তদানীন্তন সরকার নাচোলে সৈন্য পাঠায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দমন করতে। রমেন মিএ দেশ ছেড়ে পালান। কিন্তু তার স্ত্রী ইলা মি ধরা পড়েন সরকারি সন্যদের হাতে। ৩ার বিচার হয় রাজশাহী আদালতে। তিনি আদাল৩ের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন সাঁওতালরা অশিক্ষিত, বন্য, ব্বর। তিনি দারােগা ও কনস্টেবলকে হত্যা করতে বলেননি। এই হত্যার জন্য সাঁওতালরা কেবল দায়ী। তিনি নন। এখন আবার বামরা সাঁওতালদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাচ্ছেন। জানিনা সাঁওতালদের ক্ষেপিয়ে তাদের আবার কোন বিপদের মধ্যে নিয়ে ফেলা হবে।এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নাচোলে সাঁওতাল বিদ্রোহ সম্বন্ধে পকেমিউনিস্টরা বলেছিল যে এটা ছিল সংকীর্ণ বাম রাজনৈতিক কিচ্যু্ির ফল। বৃহ ভজন সমাজকে বাদ দিয়ে কোনাে দ্র জনগােষ্ঠীকে নির করে সমাজে বিঃৰ হতে পারে না। আজ সারা পৃথিবীতে কমিউনিস্ট আর আগের মও রাজনৈতিক শক্তি নয়। সাবেক সােভিয়েও ইউনিয়ন ভেঙে পড়েছে। রাশিয়ার মানুষ চাষে উদৱ বহুদলীয় গণতন্ত্র। সে দেশে কমিউনিস্ট অৱ কমায় নেই। চীনে কমিউনিস্ট মরি আছে। কিন্তু তা পরিত্যাগ করেছে কমিউনিস্ট সমাজ দর্শন। হয়ে উঠেছে উগ্র হান টানা জাতীয়াদী। চানে এক নলৰ মনি শাসন আর কদিন টিকবে আমরা জানি না। চানে বিদ্রাহ করছে চইর মুসলমানরা বিদ্রোহ করছে তিবক্ষতিরা। এরা মানে চাছে না হান চীনা আধিপ বেটন, রাশিয়া আমাদের ৩বনার বিষয়। আমারে ভাবনার বিষয় বাংলাদেশ মা হােক এবার বাংলাদেশ সরকার সরকারিাবে আদিবাসী দিবস পালন ল না। এর জন্য তাদের জানাতে হয় মোবারকবাদ।

এবনে গোলাম সামাদ- প্রখ্যাত অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জনপ্রিয় কলামিস্ট

আরও দেখুন

হিলিতে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:“প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ’ গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলিতে দিনব্যাপি প্রাণিসম্পদ …