বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকে সাতটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে৷ যার মধ্যে একটি হচ্ছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সুযোগ বিষয়ক চুক্তি।
উক্ত চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চাকা আরো বেশি ত্বরান্বিত হলো। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জনের সুযোগ পেলো বাংলাদেশ। বিষয়টিকে আরো একটু গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ভারত সরকার ইতিমধ্যে নেপাল ও ভুটানকে ট্রানজিট দিয়েছে। ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটান মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করলে বাংলাদেশের উক্ত বন্দরদ্বয় ‘আন্তর্জাতিক ট্রানজিট বন্দর’ হিসেবে বিবেচিত হবে। অতএব এসব বন্দর থেকে বর্তমানে বাংলাদেশের যা আয় হচ্ছে তা তিনগুণ থেকে চারগুণ বেড়ে যাবে।
এছাড়া বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করবে ব্যাপকভাবে। যার কারণে পরবর্তীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যেসব স্বার্থ জড়িত সেই স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আদায়ের কৌশল তৈরি হয়ে যাবে, খুব সহজে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে ব্যবহার করে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে আরও নানা পণ্য রপ্তানি করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অবশ্যই বহিঃর্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারতকে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়াটা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা দৃঢ় করতে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। এ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আসার পথ আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করলো বলেই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।