নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে অসহায় দরিদ্র পরিবারের এক অষ্টাদশী তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে পালিয়েছিল তার প্রেমিক। বুধবার রাতে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাবা। একই সাথে বিয়ের দাবিতে ধর্ষকের বাড়িতে অবস্থান নেয় মেয়েটি। অবশেষে থানার ওসি দিলীপ কুমার দাসের নির্দেশ মতে বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়েটিকে বিয়ে করে ধর্ষক আমিন হোসেন পরান। ৭০ হাজার টাকা দেনমোহরে মেয়েটিকে বিয়ে করে ধর্ষক আমিন হোসেন পরান।
গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের গুরুমশৈল বিলপাড়া ধানের ক্ষেতে নিয়ে অসহায় ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আমিন হোসেন পরান (২২)। আমিন হোসেন পরান গুরুমশৈল বিলপাড়া গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের পর মেয়েকে বাড়ির কোথাও দেখতে না পেয়ে তিনি খোজাখুঁজি করতে থাকে। পরে বাড়ির অদূরে ধান ক্ষেতে মেয়েকে ধর্ষণরত অবস্থায় ধর্ষক আমিন হোসেন পরানকে হাতে-নাতে আটক করে।
এ সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষক ওই মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে মেয়েটিকে বাড়িতে রেখে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে এ ব্যাপারে গ্রাম্য প্রধানদের কাছে বিচার চাইলে পরের দিন বিচার কাজ করা হবে বলে জানিয়ে প্রধানদের প্রতিনিধি তাইজউদ্দিন মিয়া মেয়েটিকে পাশ্ববর্তী আমির হোসেনের বাড়িতে রেখে আসে। কিন্তু সারাদিনেও বিচার করার কোন লক্ষণ না দেখায় সাংবাদিকের সহযোগিতায় মেয়েটিকে প্রেমিক আমিন হোসেন পরানের বাড়িতে রেখে আসেন। বুধবার রাতে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে মেয়েটিকে বিয়ে করার জন্য গ্রাম প্রধানদের সহযোগিতা চাইলে এ বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
আরও দেখুন
রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে ১৫ভরি স্বর্ণের ও
১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,, নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পথ …