নিজস্ব প্রতিবেদক:
শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চ মহাসড়কে রেখে যানবাহন ব্যারিকেড দিয়ে অধ্যক্ষ ও একজন সহকারী অধ্যাপকের পদত্যাগের দাবি তুলেছে একটি বেসরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার নাটোরের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ বাজার সংলগ্ন খালিসাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা নাটোর-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা ওই মহাসড়কের ধানাইদহ এলাকায় অবস্থান নিলে দুই দিকে শত শত যান আটকা পড়ে।
এ সময় তুমুল বৃষ্টি হলেও শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে সড়েনি। ছাত্র-ছাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। সকাল পৌনে ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই অবরোধ ৩ ঘন্টা ব্যাপী চলে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস ও থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং তাদের দাবির ব্যাপারে যথাযথ নিয়মে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খালিসাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম ফরিদুজ্জামান ও সহকারী অধ্যাপক কে.এম জাকির হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এ আন্দোলন নস্যাৎ করার চেষ্টা চালিয়েছে। তারা উভয়েই ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের অংশীদার, দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচার। সহকারী অধ্যাপক কে.এম জাকির হোসেন বনপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। অথচ এই কলেজে তাকে গত ১৫ বছরে একদিনও দেখা যায়নি। তিনি একটি শ্রেণিপাঠ না নিয়েও নিয়মিত বেতন তুলেছেন। অধ্যক্ষ আ.ন.ম ফরিদুজ্জামান কলেজের জন্য আসা সকল বরাদ্দ লুটেপুটে খেয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাহাড় পরিমাণ অভিযোগ রয়েছে। এক দফা দাবি হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের দ্রুত পদত্যাগ চায়। অথবা তাদের চাকরিচ্যুতের দাবি করেন। অন্যথায় এই এক দফা দাবি পূরণের জন্য আরও কঠোর কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।