বুধবার , ডিসেম্বর ২৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / বছরের প্রথমার্ধে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১৯ শতাংশ

বছরের প্রথমার্ধে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১৯ শতাংশ

২০১৮ সালে ২০১৭ সালের তুলনায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ বেড়ে যায় ৬৮ শতাংশ। চলতি বছরেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০১৯-এর প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।

দেশে নিবন্ধিত যৌথ এবং শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগের বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অর্থ আসে ব্যাংকিং চ্যানেলে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর এন্টারপ্রাইজ সার্ভে বা সমীক্ষা চালিয়ে এফডিআই পরিসংখ্যান সংকলন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিট নিজস্ব মূলধন বা ইকুইটি, আয়ের পুনর্বিনিয়োগ বা রিইনভেস্টেড আর্নিং ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ বা ইন্ট্রা কোম্পানি লোন—এ তিন ভাগে এফডিআই প্রবাহ হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ২০১৮ সালের একই সময়ে প্রবাহের পরিমাণ ছিল ১৪১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসাবেই নিট এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে নিট নিজস্ব মূলধন বা ইকুইটি প্রবাহ ছিল ৪০ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। এ হিসাবে ইকুইটি প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২১ শতাংশ।

আয়ের পুনর্বিনিয়োগ বা রিইনভেস্টেড আর্নিংয়ের পরিমাণ চলতি বছরের প্রথমার্ধে ছিল ৬৭ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬১ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এ হিসাবে রিইনভেস্টেড আর্নিং প্রবাহ বেড়েছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ বা ইন্ট্রা কোম্পানি লোন প্রবাহ ছিল ৬১ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৪৬ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ হিসাবে ইন্ট্রা কোম্পানি লোন প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে মূলত আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে।

এফডিআই প্রবাহের দেশভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি প্রবাহ ছিল চীনের। দেশটির নিট এফডিআই প্রবাহের অধিকাংশই এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। সর্বোচ্চ এফডিআই প্রবাহ এসেছে এমন শীর্ষ ২০-এ চীনসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে আছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, কানাডা, থাইল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান, পাকিস্তান, মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, বারমুডা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে এ-যাবত্কাল পর্যন্ত আসা এফডিআই স্টক বা পুঞ্জীভূত এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ১৮ বিলিয়নেরও বেশি বা ১ হাজার ৮৬৮ কোটি ২ লাখ ১০ হাজার ডলার। এফডিআই স্টক সবচেয়ে বেশি এমন শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে আছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীন।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …