নিজস্ব প্রতিবেদক:
চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের পর চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গতকাল রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুই এবং মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরম পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন। চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুইয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান।
বৈঠক শেষে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এখন অনেক ফ্যাক্টরস আছে। এসব ফ্যাক্টরস মাথায় রেখে ইতিপূর্বে যেহেতু দুইটা ডেট দিয়ে আমরা সফল হতে পারিনি, এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সে চেষ্টাই থাকবে আমাদের। আমরা সিনসিয়ারলি এঙ্গেজড থাকবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি আশাবাদী। দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে, তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়, তাহলে ১০ লাখের বেশি মানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন শিশুও জন্মগ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংটা হবে এবং তার ব্যাপ্তি কিছুটা বাড়বে। আগে আমাদের ডিজি লেভেলের সঙ্গে চীন ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থাকতেন। এটাকে বড় করে মিয়ানমারের নে পি দোতে ডিজি আছেন এবং বেইজিংয়ে ফরেন মিনিস্ট্রিতে যে যে ডিজি আছেন, তারাও সংযুক্ত হবেন। গ্রাম বা অঞ্চলভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ে পাইলট আকারে (প্রত্যাবাসন) করার কথা ছিল। আমরা তার ভিত্তিতে গ্রামভিত্তিক বা এলাকাভিত্তিক ব্যাচ বলি, তার আলোকে শুরু হবে। যদিও তাদের দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। তারা বলেছে যে, নমনীয়তা দেখাবে। আমাদের নিজেদের স্বার্থে নমনীয়তা দেখানো উচিত।