জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনে আরা বেগম। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। অনেক জটিল ও সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহযোগিতা করেছেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে গৃহবন্দি অবস্থায়ও তিনি অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে শহীদ হন তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, বঙ্গমাতা সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস জুগিয়ে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে শহীদ ফজিলাতুন্নেছার সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।