নিউজ ডেস্ক:
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাটাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসের হল রুমে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গমাতার নামে নামকরণের প্রস্তাব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী। এই প্রস্তাবের সঙ্গে সভায় উপস্থিত সব সিন্ডিকেট সদস্য সম্মতি প্রকাশ করলে নতুন নামকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রস্তাবিত উন্নয়ন পরিকল্পনাটি সিন্ডিকেট সভায় প্রশংসিত হয়।
সম্প্রতি সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান জাতীয় সংসদে বক্তৃতায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণের প্রস্তাব করেন।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, আর. টি. এম. ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ড. আহমদ আল-কবির, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
দীর্ঘদিন ধরেই একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ছিল সিলেটবাসীর। এ দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর অনুমোদন হয় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন। একই বছরের ২০ নভেম্বর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ৭টি মেডিকেল কলেজ, ১টি ডেন্টাল কলেজ ও ৯টি নার্সিং কলেজকে অধিভুক্ত করে দুটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে গত ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এমবিবিএস কোর্সের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় ৬৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর আগে বিএসসি ইন নার্সিং এবং পোস্ট বেসিক বিএসসি নার্সিং পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ৮০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিপিপি ও মাস্টার প্ল্যান তৈরিপূর্বক অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।