নিউজ ডেস্ক:
দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে ২ হাজার টাকা করে ৪০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের (বঙ্গমাতা) জন্মবার্ষিকী ৮ আগস্টে দুস্থ ও অসহায় নারীদের মধ্যে ৪০ লাখ টাকা ও ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করবে সরকার।
জাতীয় বঙ্গমাতা দিবস উদযাপন ও পদক প্রদান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে বুধবার অনলাইনে আয়োজিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে ২ হাজার দুস্থ ও অসহায় নারীকে ২ হাজার টাকা করে ৪০ লাখ টাকা এবং ৪ হাজার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।
এদিন সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো সজ্জিত করা, বিলবোর্ড স্থাপন, স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বাংলা ও ইংরেজিতে পোস্টার তৈরি ও বিতরণ, বঙ্গমাতার জীবন ঘিরে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ এবং মোবাইলে এসএমএস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো ৮ আগস্টকে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে।
এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গমাতা সংকটে সংগ্রামে নির্ভীক সহযাত্রী’।
সভায় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, “সরকার ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্মদিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব পদক নারীদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”
এদিন আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সর্বোচ্চ ৫ জন বাংলাদেশি নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব পদক দেয়া হবে।
পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম সোনা দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। গণভবন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গোপালগঞ্জ প্রান্তে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানটি উদযাপন হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদেশি মিশন ও দূতাবাসগুলোও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং সফলভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে।