আগামী ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বছর পূর্ণ হবে, এবছরেই মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর জন্য আবেদন গ্রহণ করা শুরু করবে বাংলাদেশ। আবেদনের পাশাপাশি এবছরেই যাচাই বাছাই শুরু হবে। যাচাই বাছাই ও ট্রেনিং শেষে আগামী ২০২২ সালে প্রথমবারের মত মহাকাশে নভোচারী প্রেরণ করবে বাংলাদেশ।
গত ২০ ডিসেম্বর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন।
তিনি জানান, ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছরের মত চতুর্থতম ‘স্পেসফেস্ট ২০২০’ আয়োজন করা হয়েছে। এবছরের আয়োজনেও যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড। এই স্পেসফেস্টের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার মহাকাশ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে নভোচারীকে যাচাই বাচাই শেষে ২০২২ সালে মহাকাশে পাঠানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘যারা আবেদন করবেন তাদের বয়স কমপক্ষে ২২ এবং সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হবে। শুধুমাত্র বাংলাদেশী যেকোনো নাগরিক মহাকাশে যেতে আবেদন করতে পারবেন। তবে তাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষার্থী হতে হবে। পড়াশোনা শেষ করেছেন, এমন ব্যক্তিরাও আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও শারীরিক ও মানসিক শক্তি যাচাই বাছাইয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
আগ্রহীরা ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে www.astronomybangla.com এই ঠিকানায় আবেদন করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়ার পর যাচাই বাছাই শেষে ৫০ জনকে বাছাই করা হবে । ২০২০ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় ‘মিশন স্পেস ২০২২’-এ আমন্ত্রিত বিভিন্ন দেশের নভোচারীরা পরবর্তী বাছাই-প্রক্রিয়ায় থাকবেন। বাছাইকৃত ৫০ জনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে নির্বাচিত ১০ জনের তালিকার প্রথমজনকে রাশিয়ায় ১৫ মাসের জন্য প্রশিক্ষণে পাঠানো হবে। সেই প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে মহাকাশের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস)’এ পাঠানো হবে ১০ দিনের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসসিএলের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন,
‘মহাকাশে মানুষ পাঠানো অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। পৃথিবীর খুব কম দেশই মহাকাশে
নভোচারী পাঠাতে পেরেছে। বাংলাদেশ থেকে যদি কাউকে পাঠানো যায়, তাহলে দেশে
মহাকাশ বিজ্ঞান অনেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ‘এর জন্য প্রচারণা দরকার। গোটা জাতিকে এই যাত্রার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’