নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীতে বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশে রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ থেকে সাবেক মেয়র সাবেক এম.পি মিজানুর রহমান মিনু সহ বিএনপির নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশোভন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬.৩০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর, থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজপথের আন্দোলনে বিএনপি ব্যর্থ। ১২ বছর ধরে সরকার পতনের তর্জন-গর্জন জনগণ আর বিশ্বাস করে না। জনগণ বিএনপি’র উপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। জনগণ দেশের স্থিতিশীল, শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। জনগণ দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ অন্যান্য দৃশ্যমান দেখে সরকারের প্রতি তারা আস্থা রেখেছে। তারা বিএনপির আন্দোলনের নামে যে অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু সহ বিএনপি’র নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা-কে নিয়ে যে কটুক্তি ও অশালীন বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক সকল শিষ্টাচার বহির্ভূত ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম বিভাগীয় সমাবেশের নামে বিএনপি তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে জনগণের সামনে উপস্থিত হবে। কিন্তু কি দেখলাম! তারা রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে দেশ, জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দিয়েই ক্ষান্ত হন নি। তারা ৭৫এর ১৫ আগস্টের মতো কালো অধ্যায় সৃষ্টি হুঙ্কার দেয়। তাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সেই দিন নেই, এরপর রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে কোন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে শান্তির শহর রাজশাহীর পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করা হলে জনগণকে সাথে নিয়ে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এরপর বিএনপি সমাবেশের নামে যদি কোন অশালীন ও দেশ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করে তাদেরকে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রতিহত করার আহŸান জানান।
তিনি মিনু-কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে রাজশাহীবাসীর সামনে ক্ষমা না চাইলে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে।
মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, মিজানুর রহমান মিনু, আপনার ধৃষ্টাপূর্ণ বক্তব্যের জবাব আওয়ামী লীগ রাজশাহীর জনগণকে সাথে নিয়েই দিবে। আপনার দুঃসাহস হয় কি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা-কে নিয়ে কটুক্তি করার?
তিনি আরও বলেন, যেখানে বিশ্বে আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্ত করেছে। সেইখানে মূর্খের দল বিএনপি ও তাদের নেতা মিজানুর রহমান মিনু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে জাতির সামনে তাদের হীন মানসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছে। রাজনৈতিক ভাবে বিএনপি দেউলিয়াদের সংগঠনে পরিনত হয়েছে।
তিনি মিনু-কে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তি করেছিলেন, সেই দিনও আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করেছিলো। আওয়ামী লীগের প্রতিবাদে ভীত হয়ে আপনি রাজশাহীবাসীর সামনে ক্ষমা চেয়েছিলেন। মিনু-কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডাবলু সরকার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সততার দিক দিয়ে বিশ্ব দরবারে তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান দিয়েছেন। ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু ও দেশরতœ শেখ হাসিনা-কে নিয়ে কটুক্তি করলে আপনাকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি মিনু-কে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে অবিলম্বে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।