নিউজ ডেস্ক:
দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বৃহত্তম মুর্যাল নির্মাণ হচ্ছে রাজশাহীতে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের এ মুর্যাল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুতগতিতে চলছে মুর্যাল নির্মাণ কাজ। ৫৮ ফুট উচ্চতার ম্যুরাল নির্মাণের ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ৪০ ফুট চওড়া, আর উচ্চতায় ৫০ ফুট হবে। এছাড়া দুই ধারে থাকছে টেরাকোটা। তাতে ফুটে উঠবে বাংলার লোক ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর রাজশাহীর এই ম্যুরালটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সুন্দর। রাজশাহী নগরীর সিএ্যান্ডবি মোড়ে এ মুর্যালের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।
বুধবার দুপুরে নগরের সিএ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, এই ম্যুরাল নির্মাণের অবকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও টেরাকোটার কাজ। এই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বাকি জিনিসপত্র লাগানো হবে।
জানা গেছে, ম্যুরালটি নির্মাণ করছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন রাসিক। তাতে রাসিক প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করছে। উচ্চতায় ৫০ ফুট হওয়ায় অনেক দূর থেকে চোখে পড়বে ম্যুরালটি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হওয়ায় সবার নজর কাড়বে। রাসিকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান পরাগ জানান, ‘ম্যুরালের উচ্চতা ৫৮ ফুট। এর মধ্যে দুই ধারের দেয়াল থাকছে ৭০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট উচ্চতার টেরাকোটা। দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ চলছে। ধারণা করা হচ্ছে এই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড়। রাজশাহীর এই ম্যুরালটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন হবে। তিনি আরও বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের আগেই কাজ শেষ হবে। মহান বিজয় দিবসে উদ্বোধন করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে দেশের সর্ববৃহৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বাংলাদেশে অনেক আছে। কিন্তু রাজশাহীতে যে ম্যুরাল তৈরি করা হচ্ছে, এটি হবে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে সুন্দর। দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন হবে। দেখে মনে হবে-এইতো বঙ্গবন্ধু, যিনি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি দেখে দূর থেকে মানুষের মনটা ভরে যাবে। বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধ করার নয়, এই কাজের মাধ্যমে আমরা তৃপ্তি পাব।