নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মোসলেহ উদ্দিন খানের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল হচ্ছে। সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই খুনির সেনা গেজেট নং-৬৪৩ এবং বিজেও-১৮০২। পাশাপাশি আরও ৫১ জন অমুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জামুকার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের মিশনে অংশ নেয়াদের মধ্যে মোসলেহ উদ্দিন অন্যতম। গুলির শব্দ শুনে বঙ্গবন্ধু যখন বিষয়টি জানার জন্য নিচে নামছিলেন, সেই সময় সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করে এই মোসলেহ উদ্দিন। ঠাণ্ডামাথার এ খুনি জেলহত্যা মামলারও আসামি। এরপর অন্য খুনিদের সঙ্গে সেও বঙ্গভবনে দায়িত্ব পালন করে। সেই খুনি মোসলেহ উদ্দিন খানের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এছাড়া আরও ৫১ জনের মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও সনদ বাতিল করা হচ্ছে। এদের মধ্যে দু’জনের লালমুক্তি বার্তায় নাম আছে। বাকিদের বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াত আমলে গেজেট হওয়া মুক্তিযোদ্ধা। এরা হলেন নরসিংদী সদরের আবুল ফজল (গেজেট-৩৭৫২, সনদ-ম-১৮৫১৫), মো. জয়নাল (গেজেট-৩৭৫৯, সনদ-ম-১৮৫১৪), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা (গেজেট-১৮৩২), মৃত মো. মুখলেছুর রহমান (গেজেট-১৪২৪), নাসিরুল ইসলাম খান (গেজেট-৩৫৭৯) ও কিশোরগঞ্জ সদরের মো. আজিজুল হক (ননী) (গেজেট-৩৩০৩), গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের (সেনা গেজেট-১৭৭১৭, সনদ-৭৪৮৫৫), মো. আলতাফ হোসেন (গেজেট-১৫২৮), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান (গেজেট-৫৯৫৬) ও মরহুম মো. আবদুল মালেক (গেজেট-৬৮৯৬), কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন (গেজেট-২৪৪), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত (লাল মুক্তিবার্তা নং-১০৮০৬০০৫৪), বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী (গেজেট-২৯৮২, সনদ-১৯৯৯৮৫), নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ (গেজেট-৬৭২), মো. ওসমান আলী (গেজেট-৭২৭), মো. জাকির হোসেন (গেজেট-৭২৮), আ. কাদের মোল্লা (গেজেট-৬৮২), আ. রহমান (গেজেট-৭০১), আ. জব্বার (গেজেট-৭০৩), সরদার মো. বয়েত রেজা (গেজেট-৭১৩, সনদ-৭২৬৪৪), মো. শামসুল হক (গেজেট-৬৪১), মৃত সিরাজুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৩), মো. আ. গফুর খান (গেজেট-৬৮৪), মো. শফি উদ্দিন (গেজেট-৭১২), মো. নাজিম উদ্দিন (গেজেট-৬৭৫), মো. আ. রব (গেজেট-৫৬৪), মো. জামাত আলী (গেজেট-৬৫৯), মো. আ. সামাদ (গেজেট-৬৮৫), মো. আফজাল হোসেন (গেজেট-৬৮৮), মো. আ. আউয়াল (গেজেট-৫৪৮), মো. রফিকুল ইসলাম (গেজেট-৬৮৬), মৃত আনছার আলী (গেজেট-৬৯৩), মৃত নুরুল ইসলাম (গেজেট-৬৯৬), পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন (গেজেট-৩২৫), পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম (গেজেট-১০৪৬), টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আবদুল বাছেদ করিম (গেজেট-৬০৬) ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া (গেজেট-৪১৩৬), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া (গেজেট-১৫৩৯), তোফাজ্জল হোসেন (গেজেট-৮৯২), নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার (গেজেট-২৭৯), মৃত আলী আকবর (গেজেট-৪৭৫), মনিরুল ইসলাম (গেজেট-৪৭৩), রহমত উল্লাহ (লাল মুক্তিবার্তা নং-০১৪০২০১৬৯), আবদুল মাজেদ (গেজেট-৩৫৫), বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস (গেজেট-৪৬৯০), মো. আবদুল হাকিম মোল্লা (গেজেট-৫০৩১), এছাহাক মুন্সি (গেজেট-৫০২৩), আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার (গেজেট-৪৯৭৪), মৃত মো. আ. রহিম (গেজেট-৫৩৫২), হারুন অর রশিদ (গেজেট-৫১৬১) এবং আ. রহমান সরদার (গেজেট-৫৪১০)।