নিউজ ডেস্ক:
এক বছর আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের উত্তর লনের বাগানে লাগানো ‘হানি লোকাস্ট’ বৃক্ষ এবং পাশেই স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর বাণী-সংবলিত বেঞ্চ শুক্রবার পরিদর্শন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের চলতি ৭৭তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের বক্তব্য উপস্থাপনের প্রাক্কালে কয়েকজন সফরসঙ্গীসহ সেখানে উপস্থিত হয়ে বেশ কিছুক্ষণ নীরবে অবস্থান করেন তিনি। এ সময় তিনি জাতির জনকের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, বেঞ্চটি উৎসর্গ করা হয় বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি। আরও উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষটি রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। বৃক্ষটি ৩০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। এর আয়ুষ্কাল ১২০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ দীর্ঘ সময়ে বৃক্ষটি শান্তির বার্তা বহন করবে। একই সঙ্গে মানবতার জন্য নিবেদিতদের নির্মল পরিবেশে প্রশান্তির ক্ষেত্র বিস্তৃত করবে এ বৃক্ষ। জাতিসংঘ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, অর্থাৎ সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে। এর আট দিন পরই বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তাঁর দরাজ কণ্ঠে বাংলায় ভাষণ দেন। এজন্য সেপ্টেম্বর মাসটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বাঙালিরা।
গত বছর বৃক্ষটি রোপণের সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কেউ তাদের অবসর সময়ে বেঞ্চে বসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারেন, শুধু নিজের সঙ্গেই নয়, সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গেও। জাতির পিতা সর্বদা শান্তি নিশ্চিত করতে এবং দরিদ্র মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে লড়াই করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের নিপীড়িত, দরিদ্র ও ক্ষুধার্তদের কথাও ভাবতেন।’ শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতির মূলকথা- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ তুলে ধরে বলেন, ‘তাঁর জীবনের লক্ষ্য ছিল সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব লালন করা। কারণ এটি শান্তি নিশ্চিত করবে। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন শান্তি বজায় রাখার সংগ্রামে কাটিয়েছেন। শান্তি ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না, আমরা ভালো করেই তা জানি।’ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই নীতির আলোকে এবারও সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা। এদিকে জাতিসংঘ সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন।