বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ফ্রিল্যান্সিংই ভবিষ্যত। আর এই ভবিষ্যতে দেশের ৭০ শতাংশ তরুণের আত্মকর্মস্থান নিশ্চিত করতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করলো আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প। রোববার পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১৫টি জেলায় ওয়েব, গ্রাফিক্স ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর ২০০ ঘণ্টার এই প্রশিক্ষণের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) আখতার মামুন ছাড়াও প্রশিক্ষণ উপকরণ পরিকল্পনাকারী শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন। শুরুতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘প্রযুক্তি জ্ঞানকে উন্মুক্ত করেছে’ উল্লেখ করে এসময় প্রতিমন্ত্রী জানান, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের অধীনে অনলাইনেই প্রশিক্ষণ নিতে ১ লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। তবে পিসি ও উচ্চগতির নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন ১৫টি ভাগে ভাগ করে দেশের ৪৯২ লোকেশনে ৪০ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এজন্য ৩৯টি আইটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ মূল্যায়নে কেপিআই-কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অনলাইন ক্লাসই আমাদের ভবিষ্যত। আর করোনা অনলাইন শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আমরা আশা করি, অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হবে।
এসময় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ‘ইন্টারনেট প্লাস’ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং পেমেন্ট গেটওয়ে অবকাঠামো তৈরির ফলেই এখন আমরা ঘরে বসেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মতো ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম অনলাইনে শুরু করতে পারছি। এসএসসি ও এইচএসসি পাশের পরও তরুণদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থান করে দিতেই এই উদ্যোগ করোনাতেও চলমান রেখেছেন দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।