নিউজ ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দেশের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করাসহ অপ্রত্যাশিত কর্মকাণ্ডের সৃষ্টি করে এসব কনটেন্ট।
আদালত বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৮ নম্বর ধারার অধীনে সুনির্দিষ্ট একটি বিধান আছে। যে বিধান অনুযায়ী বিটিআরসি ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে উস্কানিমূলক ও ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রকাশ ও প্রচার প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু ফেসবুক থেকে এ ধরনের কনটেন্ট অপসারণে কেন বিটিআরসির প্রতিবারই আদালতের আদেশ প্রয়োজন হয়-প্রশ্ন রাখেন আদালত।
আদালত বলেন, বিটিআরসি যদি ফেসবুক থেকে ভুয়া ও উস্কানিমূলক কনটেন্ট এবং গুজব ছড়িয়ে পড়া বন্ধে আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করতো তাহলে সাম্প্রদায়িক হামলা ও বিশৃংখলার ঘটনা ঘটত না। দেশে গত বছরের অক্টোবরে দুর্গাপূজা উৎসবের সময় সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হত না।
বিটিআরসি ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভুয়া ও বিকৃত সংবাদ ও বিষয়বস্তু, ভুল ও মিথ্যা তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুকে ছড়ানোর বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ফেসবুক থেকে উস্কানিমূলক ও ভুয়া কনটেন্ট অপসারণ এবং এর অপব্যবহার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ফেসবুকে উস্কানিমূলক কনটেন্ট প্রকাশ, প্রচার এবং ছড়ানো বন্ধে তাদের ব্যর্থতা এবং এর অপব্যবহার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সংশ্নিষ্ঠদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জর্জ চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের ভিক্টর রায়, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সেলিম সামাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষক ড. এস এম মাসুম বিলল্গাহ’র করা রিটের প্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন আদালত।