নিউজ ডেস্ক:
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এতে জাগ্রত করে মানবিক অনুভূতি। রক্তদান করা মানে মানবতার কল্যাণে পাশে থাকা। বিপদের সময়ে এক ব্যাগ রক্ত হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারে। ১৪ জুন ছিল বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। রক্তদানকে বলা হয় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও নিঃস্বার্থ উপহার।
রক্তদানের এ মহৎ কাজটি ফেসবুকের কল্যাণে আরও সহজ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে রক্তদানের নোটিফিকেশন পেতে ইতোমধ্যেই ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি সাইন আপ করেছে। এ বছরে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী করতে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয় ব্লাডম্যান।
দেশের মানুষকে স্থানীয় ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান যৌথভাবে ব্লাড ডোনেশন ফিচার চালু করে। আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় শুরু করা এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মানুষকে জানানো কোথায় রক্তের স্বল্পতা আছে এবং কখন রক্তদান করা নিরাপদ।
মহামারির কারণে বাংলাদেশের হাসপাতাল এবং ব্লাডব্যাংক রক্ত সন্ধানে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এ সময়ে ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশন টুল ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে রক্তদাতাদের যোগাযোগ ডিজিটাইজ এবং আরও সহজ করেছে। ফেসবুকের বাংলাদেশবিষয়ক পাবলিক পলিসি প্রধান সাবহানাজ রশিদ দিয়া বলেন, রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং দেশে রক্তদানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবাই ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কমিউনিটিভিত্তিক রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে ‘ফেসবুক ইভেন্টস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাদের প্রচার আরও নিকটস্থ করতে পারবে।
রক্তদানের বিষয়ে আপনার নিকটস্থ ব্লাড ব্যাংকগুলো থেকে নোটিফিকেশন পেতে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের অ্যাবাউট সেকশনে ব্লাড ডোনেশনস ফিচারে যান। আরও জানতে http://facebook.com/donateblood ভিজিট করুন। ২০১৭ সালে চালু হওয়া ফেসবুকের এ ফিচারটিতে এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি মানুষ রক্তদাতা হিসাবে সাইনআপ করেছে। মহামারির সময়ে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে বিগত বছরে ফেসবুক এ ফিচারটি নতুনভাবে ২৬টির বেশি দেশে চালু করে।