নিউজ ডেস্ক:
সোমবার (২১ জুন) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি সংস্থার মহাসচিবের কাছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
জর্ডানের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ফিলিস্তিনিনিদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনই একমাত্র সংস্থা যারা জর্ডান সরকার ও দখলদার ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে পৌঁছে দেয়।
বাংলাদেশের বিকন গ্রুপ থেকে পাওয়া এসব ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, অভ্যুদয়ের পর থেকেই ফিলিস্তিন বিষয়ে বাংলাদেশ সর্বদা সোচ্চার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সবসময়য়ই সহমর্মিতা পোষণ করে আসছে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে দেওয়া তার প্রথম ভাষণেও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একাত্মতা পোষণ করে সব দখলদারিত্বের অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়- এ মূলমন্ত্রের আলোকে বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে আসছে। বিশ্বের সব নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের প্রতি বাংলাদেশের রয়েছে অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশ সব ধরনের দখলদারিত্বের অবসান কামনা করে।
সহায়তা সামগ্রী ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জর্ডান সরকার এবং হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি জানান, নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ৫০ হাজার ডলার ফিলিস্তিন সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ইতোমধ্যে জমা হয়েছে।
ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ড. হুসেইন শিবলি বিকন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির হিসেবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া চিকিৎসা সহায়তা ফিলিস্তিনি জনগণের মানসিক শক্তিকে দৃঢ় করবে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদারতার কথা উল্লেখ করে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মানবিক আদর্শের দুই মহান নেতার উত্তরসূরিরা আজও উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশ তার আদর্শিক অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।