সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / ফলোআপ: কন্যা তানজিলাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে বাবার মামলা

ফলোআপ: কন্যা তানজিলাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগে মায়ের বিরুদ্ধে বাবার মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুকুরের পানি থেকে আড়াই মাসের শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই শিশুর মায়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন শিশুটির বাবা। মামলায় সন্তানকে হত্যার পর পুকুরের পানিতে লাশ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের তিন দিন পর সোমবার রাতে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাবা আব্দুর রহমান তুষার। মা তারাবী ইয়াসমিন তারিনকে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জানায়, পুকুরের পানিতে শিশুর ভাসমান মরদেহর খবর পেয়ে শনিবার শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন রোববার নাটোর আধুনিক হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির বাবা আব্দুর রহমান তুষারের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এদিকে মাত্র আড়াই মাসের অবুঝ শিশুর মরদেহ পুকুরের পানিতে পাওয়ায় সন্দেহ থেকে ঘটনার দিন শনিবার থেকে শিশুটির মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সোমবার রাতে মামলাটি দায়েরের পর শিশুটির মাকে আটক করা হয়।

মামলায় আব্দুর রহমান তুষার অভিযোগ করেন, মাত্র ১৫ মাস পূর্বে তারাবী ইয়াসমিন তারিনের সাথে তার বিয়ে হয়। স্ত্রীর ইচ্ছায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সন্তান নেন তারা। সন্তানকে ঘিরে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। ঘটনার দিন শনিবার সকালে স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুর বাড়ি বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগরের বজরাপুরে রেখে তুষার নিজের বাড়িতে যান। তুষারে বাড়ি রাজশাহীর বেলপুকুরিয়ার জামিরা গ্রামে। পরে ওইদিন বিকালে পুকুরের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় তার ২ মাস ১৭ দিন বয়সের মেয়ে তানজিমা আক্তার টিয়া’র লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী তারাবী ইয়াসমিন তারিন নিজের সন্তানকে হত্যা করে লাশ পুকুরের ফেলে দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বজরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম টেনুর পালিত কন্যা তারাবী ইয়াসমিন তারিন। তবে তার প্রকৃত বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক তাজুল ইসলাম তারিনকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেন। এছাড়াও তুষারের সাথে তার দ্বিতীয় বিয়ে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, মামলায় বাদি শিশুটির বাবা একজনকে আসামী করেছেন। মামলার পর অভিযুক্ত তারাবী ইয়াসমিন তারিনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কোন গুরুত্বপূর্ন তথ্য পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তদন্তের স্বার্থে তিনি তা প্রকাশ করতে রাজি হননি।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …