নিউজ ডেস্ক : বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং সংরক্ষিত আসনের নারী এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে নিয়ে বিএনপির বিশ্বাসে চিড় ধরেছে। তুখোড় রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে লাইম লাইটে আসা রুমিন ফারহানা সংসদে কারো কাছে নতি স্বীকার না করার কথা দিলেও তার সেই কথা রাখতে পারেননি তিনি। বরং স্বার্থের দিকে মনোযোগী হয়ে নিজের অবস্থান ভুলে গেছেন তিনি।
জানা গেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ঢাকাস্থ পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছেন রুমিন। শনিবার (৩ আগস্ট) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বরাবর তিনি এ আবেদন করেন। যা হঠাৎ করেই প্রকাশিত হল।
আবেদনে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা লিখেছেন, ঢাকা শহরে আমার কোন জায়গা /ফ্ল্যাট, জমি নাই। ওকালতি ছাড়া আমার অন্য আর কোন ব্যবসা/ পেশা নাই। আমার নামে ১০ (দশ) কাঠা প্লট বরাদ্দের জন্য সুব্যবস্থা করে দিতে আপনার মর্জি হয়। এছাড়া ওই চিঠিতে তিনি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বিএনপির হাইকমান্ড রুমিন ফারহানার প্রতি নাখোশ হয়েছেন। সামান্য একটি প্লটের জন্য বিএনপি ও তার নিজ ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনৈতিক চরিত্র বিশ্লেষণ করে যে কাউকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করতে হয়। সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে মনোনীত করার প্রাক্কালে এ বিষয়টি ভাবা উচিৎ ছিলো হাইকমান্ডের। রুমিন ছাড়া আরও যোগ্য প্রার্থী ছিলো বিএনপিতে। যারা অন্তত একটি প্লটের লোভে পড়ে নিজের ও দলের আত্মসম্মান খোয়াতো না। যা হয়েছে তা নিয়ে এখন আর কিছু বলার নাই। বিষয়টি হাইকমান্ডই হ্যান্ডেল করুক।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ মে সংসদ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার বাবা অলি আহাদ একজন ভাষা সৈনিক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। আইনজ্ঞ হিসেবে রুমিন ফারহানার রয়েছে বাকপটুতা ও ক্ষুরধার যুক্তি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা রুমিন ফারহানা বিএনপির কূটনৈতিক উইং শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।