বৃহস্পতিবার , এপ্রিল ১৮ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / প্রেমের ফাঁদে ফেলে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ রাবি ছাত্রদলের সদস্যের বিরুদ্ধে

প্রেমের ফাঁদে ফেলে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ রাবি ছাত্রদলের সদস্যের বিরুদ্ধে

বিশেষ প্রতিবেদক:

প্রেমের ফাঁদে ফেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ রাবি ছাত্রদলের সদস্য ইমন ও মদদ দাতা যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। নিজের বয়সের চেয়ে বড় এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথিত বড় ভাইয়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এর দুই নেতা ইমন ও মেহেদীর বিরুদ্ধে। গতকাল নগরীর স্টেশন এলাকায় হোটেল হ্যাভেন সংলগ্ন এটিএন বাংলা অফিসে মাতৃত্বের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করতে আসেন।

এসময় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ০৮ মাস আগে ছাত্রদল নেতা ইমন তার এলাকা নেত্রকোনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছোটভাই পরিচয়ে সখ্যতা গড়ে তুলেন। একপর্যায়ে এটি একটি প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। একপর্যায়ে গত ১৪ মে ওই তরুণী পেট ব্যথার জন্য হাসপাতালে গিয়ে আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট করে জানতে পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এরপর মেয়েটি ছাত্রদল কর্মী ইমনকে বিষয়টা জানায় এবং দ্রুত বিয়ের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযুক্ত ইমন বয়সে ছোট হবার কারণে এ সম্পর্ক ও সন্তান কে অস্বীকার করে মেয়েটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
একপর্যায়ে মেয়েটি নিরুপায় হয়ে ইমনের বিভাগের শিক্ষকদের বিষয়টি জানান ও অনাগত সন্তানের পিতৃ-পরিচয় দিতে ইমনকে অনুরোধ এর দাবি জানান। পরবর্তীতে দুই দিন কোন সুরাহা না হওয়ায় ভিক্টিম তার আত্মীয় এটিএন বাংলার রাজশাহী প্রতিনিধিকে সব খুলে বলেন।

এমতাবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগ এর সভাপতি – সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই বি এ বিভাগের প্রফেসর গোলাম আরিফ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল আহবায়ক সুলতান আহমেদ রাহী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঘটনার সত্যতা জানতে অভিযুক্ত ইমনকে ফোন দেওয়া হলে সে অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও এটিএন বাংলা অফিসে আসতে অস্বীকৃতি জানায়।
তবে আজ সকালে মোবাইলে ইমনের পরিবার থেকে ওই তরুণীর সাথে ইমনের সম্পর্ক তারা মেনে নিবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়।

তরুণীর দাবি, রাজশাহীর স্থানীয় হবার সুবাদে ছাত্রদল নেতা মেহেদীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় নেত্রকোনা হতে পড়তে আসা ইমন এরকম দুঃসাহস দেখাচ্ছে। এতে দিশেহারা সেই তরুণী এখন আত্ম-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে না পেরে আত্মহননের পথে ধাবিত হচ্ছেন ও ইমনের কথিত বড় ভাই আশ্রয়দাতা ছাত্রদল নেতা মেহেদী তার সহযোগীদের নিয়মিত হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর প্রফেসর এনামুল হক বলেন আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এই বিষয়ে শুনেছি তবে যেহেতু আমি প্রত্যক্ষদর্শী না সেহেতু বলবো ছেলে-মেয়ের উভয়ের উচিৎ সামাজিক ভাবে বিয়ে করে নেওয়া।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম প্রেম-প্রণয়ের ঘটনা খুব স্বাভাবিক, আমার প্রক্টোরিয়াল আমলেও এধরণের বহু ঘটনায় আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে ছেলে-মেয়ে উভয়ের অভিভাবক হিসেবে বিয়ে দিয়েছি।

উল্লেখ্য উক্ত ঘটনায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সিদ্ধান্ত এবং ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেলের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় উক্ত শিক্ষার্থী তাকবীর আহমেদ ইমন কে রাবি ছাত্রদলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

আরও দেখুন

কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মালিককে ফেরত দিলেন শিরিন-জিয়া দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:রেলের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া টাকাসহ পোশাকভর্তি ব্যাগ ফেরত দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার …