নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের হরিশপুর এলাকায় এক গার্মেন্টস কর্মী গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, গত ১৪ আগস্ট তারিখে নাটোর শহরের হরিশপুর ইউনিয়নের রাজিবপুর এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপরে ভুক্তভোগী পুলিশের দ্বারস্থ হলে পুলিশ ভুক্তভোগীকে নিজেদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে অভিযানে নামে। পরে গত রাতে অভিযান চালিয়ে হরিশপুর এলাকার চিহ্নিত বখাটে সাদ্দাম, রুবেল ও ফারুক নামে তিন ধর্ষককে আটক করে। পরে তাদের সহযোগী রাশেদকে আটক করে পুলিশ। ভুক্তভোগী গার্মেন্টস কর্মীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
উল্লেখ্য,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার চৌডালা কদমতলী গ্রামের ধর্ষিতা অভাবের তাড়নায় সাভার চারাবাগ এলাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরপি পরিবহনে ঢাকা যাওয়া আসার পথে হেলপার রাশেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ১৩ আগস্ট সাভার চারাবাগ হতে নাটোর বড় হরিশপুর বাইপাস এ নিয়ে আসে রাশেদ।ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে তাদের আটক করে। পরে সেখান থেকে রাশেদ কৌশলে পালিয়ে আসে।ভিকটিম স্থানীয় আব্দুল্লাহর বাড়িতে অবস্থান করেন পরের দিন আব্দুল্লাহর বাড়ি থেকে হরিশপুর বাসস্ট্যান্ডে আসলে রাশেদ ভিকটিমকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করে।সন্ধ্যার পর রাশেদ রাজীবপুরে নিয়ে যায় পূর্ব থেকেই যোগসাজশ থাকায় সাদ্দাম ফারুক রুবেল দুটি মোটরসাইকেলে এসে ভিকটিমকে সদর উপজেলার বটতলা মোড় থেকে শিয়াল পাড়া রাজীবপুরের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।পরে ভিকটিমের কাছে থাকা ওয়ালটন মোবাইল ফোন ও নগদ ৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়।ধর্ষণের পর আসামি ফারুক ও রুবেল ভিকটিমকে মোটরসাইকেলে তুলে হরিশপুর বাইপাস মোড়ে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য আসলে ভিকটিম আশেপাশের লোকজন দেখে চিৎকার করলে রুবেল তার মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।পরে মেয়েটি স্থানীয়দের সহায়তায় সদর থানায় এসে ধর্ষণ মামলা করে। পরে পুলিশ মোটর সাইকেলের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামি রুবেল ফারুক সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। সাদ্দাম হরিশপুর এলাকার চেয়ারম্যান রোডের রফিকুল শেখের ছেলে,ফারুক একই এলাকার হানিফ মণ্ডলের ছেলে, রুবেল ওই এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং রাশেদ উপজেলার এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।